এই সেই নেতা
নিউ টাউনের রাস্তা ধরে হু-হু করে ছুটছে একটি সাদা স্করপিয়ো। ট্র্যাফিক সিগন্যালের তোয়াক্কা নেই। রাস্তার পাশে বোর্ডে লেখা রয়েছে গাড়ির সর্বোচ্চসীমা ঘণ্টায় ৫০ কিমি। তা সত্ত্বেও গাড়ি ছুটছে ৮০ কিমির গতিতে!
ইকোপার্কের কাছে পুলিশ গাড়ি থামাতেই নেমে এলেন উলুবেড়িয়ার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান আব্বাসউদ্দিন খান। অভিযোগ, তার পরেই শুরু হয়ে নেতার ‘দাদাগিরি’।
পুলিশকর্মীর জামা ধরে হুমকি, ‘কী নাম তোর?’ ‘আমি কে জানিস?’ এমনকি চাকরির খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে নিউটাউন থানার পুলিশকর্মীরা। থানায় নিয়ে যাওয়া হয় আব্বাসউদ্দিনকে। যদিও তিনি তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা জানিয়েছেন, চিনার পার্কের দিকে যাচ্ছিল গাড়িটি। লেখা ছিল ‘অন ডিউটি’। ভাইস চেয়ারম্যানের বোর্ড লাগানোও ছিল। গাড়ি থেকে নেমে পুলিশকর্মীদের হুমকি দিতে শুরু করেন তিনি। সংযত হতে বলা হলে, তিনি চাকরি খেয়ে নেওয়ার কথাও বলেন।
আরও খবর: ফেসবুকের ‘বান্ধবী’র ফাঁদে পড়ে ১৯ লক্ষ টাকা উধাও!
প্রশ্ন উঠছে, যেখানে সরকারি পর্যায়ে রাজ্য জুড়ে সেফ ড্রাইভ, সেফ লাইফের প্রচার চলছে, কী করে এক জন চেয়ারম্যান হয়ে আব্বাসউদ্দিন খান এমন আচরণ করলেন। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় পুলিশ-প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন, বেপরোয়া গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্ঘটনা কমাতে তাঁর উদ্যোগেই ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ’-এর মতো প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। ইকোপার্কের সামনে নেতার গাড়িই ট্র্যাফিক নিয়মের তোয়াক্কা করছে না। রাত পর্যন্ত ওই নেতাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ অফিসারেরা। ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল, তা খতিয়ে দেখতে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও দেখা হচ্ছে।