ট্যাংরা

চুরি করতে গিয়ে ছুরির আঘাত অন্তঃসত্ত্বাকে

রাত গভীর। সকলে ঘুমিয়ে। ঘরের সদর দরজা খোলা। হঠাৎ শব্দে ঘুম ভেঙে যায় সকলের। অন্ধকারে বুঝতে পারেন, কিছু লোক ঘরে ঢোকার চেষ্টা করছে। বাধা দিতে গিয়ে ছুরিবিদ্ধ হন এক অন্তঃসত্ত্বা। জখম আরও তিন। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহম্মদ আবেদকে বৃহস্পতিবার বিকেলে তপসিয়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৫ ০২:৪৯
Share:

রাত গভীর। সকলে ঘুমিয়ে। ঘরের সদর দরজা খোলা। হঠাৎ শব্দে ঘুম ভেঙে যায় সকলের। অন্ধকারে বুঝতে পারেন, কিছু লোক ঘরে ঢোকার চেষ্টা করছে। বাধা দিতে গিয়ে ছুরিবিদ্ধ হন এক অন্তঃসত্ত্বা। জখম আরও তিন। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহম্মদ আবেদকে বৃহস্পতিবার বিকেলে তপসিয়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

মঙ্গলবার ট্যাংরার দেবেন্দ্রচন্দ্র দে রোডের ধোবিয়াতলা ক্যাম্পের ঘটনা। জখম মহিলার নাম সাবানা বিবি। তাঁকে এবং মহম্মদ তামান্না নামে অন্য এক আহতকে এনআরএস-এ ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত মহম্মদ আবেদ এলাকারই যুবক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকার একটি ছোট ঘরে বহু দিন ধরেই রয়েছেন আসিফ খান ও তাঁর পরিবার। পেশায় রবারের সরঞ্জাম-বিক্রেতা আসিফ ঘরে হাজার পাঁচেক টাকা রেখেছিলেন। পুলিশের অনুমান, খবর পেয়ে মহম্মদ আবেদ এবং আরও তিন-চার জন ঘরে ঢোকে। শব্দ পেয়েই প্রথমে উঠে পড়েন আসিফ ও তাঁর ছেলে মহম্মদ আফরোজ। আসিফ দুষ্কৃতীদের ধরতে গেলেই তারা ছুরি দিয়ে আসিফকে এবং আফরোজকে আঘাত করে। আসিফের মেয়ে সাবানাও ছুরিবিদ্ধ হন। এর পরে ওই দুষ্কৃতীরা যখন পালিয়ে যাচ্ছিল, আসিফের প্রতিবেশী মহম্মদ তামান্না তাদের ধরে ফেলেন। তাঁর হাতেও ছুরি বসিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

আসিফের কথায়, ‘‘রাতে ঘরের দরজা খোলা রেখেই শুয়েছিলাম। ছোট ঘরে ছ’জন থাকি। কিছু টাকাও রেখেছিলাম। সুযোগ বুঝে আবেদ শাগরেদদের নিয়ে আলমারি ভেঙে টাকা চুরির পরিকল্পনা করেছিল। ’’ স্থানীয়দের অভিযোগ, মহম্মদ আবেদ মাদকাসক্ত। চুরির দায়ে আগেও গ্রেফতার হয়েছিল সে। তখন এলাকায় এ নিয়ে বিক্ষোভও হয়। এমনিতে আবেদ পাড়ায় থাকে না। টাকার প্রয়োজন হলে পাড়ায় চুরি করে সে। মঙ্গলবারও চুরি করতেই সে পাড়ায় ঢুকেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জেনেছে, এই দুষ্কৃতীর সঙ্গে ওই পরিবারের কোনও শত্রুতা ছিল না। পুলিশের অনুমান, ধস্তাধস্তি করতে গিয়েই এমন কাণ্ড। তবে এই ঘটনায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের সাফাই, এলাকায় পুলিশ টহল থাকে। মঙ্গলবার রাতেও ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন