অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সহবাসে বাধ্য করা হয়েছে। স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় এমনই অভিযোগ দায়ের করলেন সিঁথি থানা এলাকার বাসিন্দা এক তরুণী। শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে পণের দাবিতে মানসিক, শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার আদালতের নির্দেশে একটি মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মহিলার স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতারণা, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (২) (অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ধর্ষণ) ধারায় এবং স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে ৪৯৮ এ (পণের দাবিতে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন) ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগে তরুণী জানিয়েছেন, বছর খানেক আগে হুগলির বাঁশবেড়িয়ার এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের আগে ওই যুবক নিজেকে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজমেন্টের কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের পরে তিনি জানতে পারেন, স্বামী এ রকম কোনও পদে কর্মরত নন। তরুণীর আরও অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের দাবিতে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি নির্যাতন করতেন।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তরুণীর আরও অভিযোগ, অন্তঃসত্ত্বা জানার পরেও তাঁকে সহবাসে বাধ্য করতেন স্বামী। পরে বিষয়টি জানিয়ে তরুণী আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে সিঁথি থানার পুলিশ ওই তরুণীর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই তরুণীর মেডিক্যাল রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দির নেওয়া হবে।’’ পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু হয়েছে। পণের দাবিতে অত্যাচার চালানোর মামলায় গ্রেফতার বাধ্যতামূলক না হলেও ইচ্ছের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বাকে সহবাসে বাধ্য করার অভিযোগ থাকায় তরুণীর স্বামীকে খোঁজা হচ্ছে।