ঘেরাও হয়ে রয়েছেন প্রেসিডেন্সির উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। —নিজস্ব চিত্র।
পড়ুয়া এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যলয় কর্তৃপক্ষের অনড় মনোভাবের জেরে সেখানে পঠনপাঠানই এখন শিকেয়! মঙ্গলবার দুপুর থেকে ঘেরাও হয়ে রয়েছেন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। অন্য দিকে, তিন ছাত্রের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে পড়ুয়ারাও ক্যাম্পাসের মধ্যে অনশনে বসেছেন। চলছে বিক্ষোভও।
পড়ুয়াদের এই চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন উপাচার্য। বৃহস্পতিবার তিনি আবারও বলেন, “এই কাজ ক্ষমা করা যায় না। শিক্ষা প্রতিঠানের প্রধান গেট আটকে রেখে পড়াশোনা বন্ধ করা যায় না। ওদের শাস্তি আরও বেশি হয়েছিল। আমরা আগেই শাস্তি কমিয়ে দিয়েছি। কিন্তু ওঁরা নিজের ভুল স্বীকার করতে চায় না!”
এই পরিস্থিতির জন্যে যদিও পড়ুয়ারা উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়াকেই দায়ী করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, গত তিন বছরে প্রেসিডেন্সি ক্যাম্পাস বার বার উত্তাল হওয়ার পিছনে ওঁর ব্যর্থতা রয়েছে। তাঁদের কথায়, ‘‘কেন পড়ুয়াদের অনশন করতে হচ্ছে, তা উনি বুঝতে পারছেন না। মহাত্মা গাঁধীও অনশন করেছিলেন, তা হলে তিনি কী ব্ল্যাকমেল করেছেন? আমরা উপাচার্যকে আটকে রাখিনি। উনি চাইলে চলে যেতে পারেন।’’
আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে ফের গণপিটুনি, হাওড়ার পর এ বার লেক টাউনে
ফের উত্তাল প্রেসিডেন্সি, ঘেরাও হয়ে উপাচার্য বললেন, ‘ব্ল্যাকমেল করে লাভ নেই’
উপাচার্য পাল্টা বলেন, ‘‘ওরা আন্দোলন করতে গিয়ে ভুল কাজ করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এটা মেনে নিতে পারে না। এখানে অনেক আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু সব কিছুর একটা সীমা রয়েছে।”
হিন্দু হস্টেলের দাবিতে পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে প্রেসিডেন্সির সমাবর্তন অন্যত্র সরাতে হয়। এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি ৩ জনকে ১ বছরের জন্য এবং বাকি ১৮ জনকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ডের সুপারিশ করে। উপাচার্যের পরামর্শে ওই ৩ ছাত্রকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয় এবং বাকি ১৮ জনকে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়। গত ২ জানুয়ারি ওই সাসপেনশনের নির্দেশ কার্যকরী করা হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে আন্দোলন।
(কলকাতা কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনার বাছাই করাবাংলা খবরপড়তে চোখ রাখুন আমাদেরকলকাতাবিভাগে।)