ক্যাম্পাস সাফ করবে সংস্থা

ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখতে গত বছর ঘটা করে কমিটি গঠন করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার পরেও যে বেহাল দশা ঘোচেনি তা স্পষ্ট ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের (নাক) রিপোর্টে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরিচ্ছন্নতার জন্য সেখানে নম্বর কমেছে। নিজেদের সেই ভাবমূর্তি বদলাতে এই সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

সুপ্রিয় তরফদার

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৭ ০১:০৩
Share:

অপরিচ্ছন্ন: এ ভাবেই চত্বরে জমে থাকে আবর্জনা। নিজস্ব চিত্র

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক’টি ক্যাম্পাসের পরিচ্ছন্নতার ভার এ বার উঠতে চলেছে বেসরকারি সংস্থার হাতে। যদিও ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখতে গত বছর ঘটা করে কমিটি গঠন করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার পরেও যে বেহাল দশা ঘোচেনি তা স্পষ্ট ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের (নাক) রিপোর্টে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরিচ্ছন্নতার জন্য সেখানে নম্বর কমেছে। নিজেদের সেই ভাবমূর্তি বদলাতে এই সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলির পরিচ্ছন্নতা নিয়ে পড়ুয়াদের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। কাটাকল থেকে কলেজ স্ট্রিট, রাজাবাজার থেকে আলিপুর ক্যাম্পাস সর্বত্রই আবর্জনার স্তূপ জমে থাকে। গত বছর ডেঙ্গি মশার লার্ভাও মিলেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে। শৌচালয়ের অবস্থা এতটাই খারাপ থাকে যে বারবার কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হতে হয় পড়ুয়াদের। এই ছবিটা বদলাতে প্রাক্তন উপাচার্য সুগত মারজিত ক্লিন ক্যাম্পাস কমিটি গঠন করেছিলেন। কিন্তু তাতেও পরিবর্তন হয়নি। ফলে সাফাইকর্মীদের উপরে ভরসা রাখতে পারছেন না কর্তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা জানান, কুড়ি জন সাফাইকর্মী থাকলেও তাঁরা সকাল আটটায় এক বার পরিষ্কার করেন। অথচ সারাদিন ধরে অসংখ্য পড়ুয়া ও কর্মীরা শৌচালয় ব্যবহার করায় খুবই অপরিষ্কার হয়ে যায়। নাক এর পরিদর্শকের দল যখন ক্যাম্পাসে আসেন তখন সাময়িক পরিষ্কার হলেও আসল রূপ ঢাকতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তারা। তার জেরে নম্বর কমে যায়। যাদের নম্বরের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পায় সেখানেই আঘাত আসায় শুরু হয় ঘরে-বাইরে সমালোচনার ঝড়। তার পরেই নড়ে বসেন কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

অন্য এক কর্তা জানান, বর্তমানে সাফাইকর্মীদের বেতন দেয় সরকার। কিন্তু বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দিলে সেই টাকাটা বিশ্ববিদ্যালয়কে দিতে হবে। এতে টাকা খরচ হবে বেশি। তাঁর দাবি, বর্তমানে যে সব সাফাইকর্মী আছেন তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাদের ঘর পরিষ্কারের দায়িত্ব পাবেন। সেখানে বাইরের সংস্থা ঢুকবে না।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রাজাগোপাল ধর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘উত্তর থেকে দক্ষিণের প্রতিটি ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে।’’ তবে কমিটির কী হবে? রেজিস্ট্রার জানান, সে ব্যাপারে এখনও ভাবা হয়নি। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক লগ্নজিতা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই সমস্যা বহু দিনের। অনেক বার কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এত দিনে সমাধান সূত্র বেরনোয় আমরা খুশি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন