স্কাইওয়াকে হাঁটার জায়গা নিয়ে প্রশ্ন

কিছু দিন আগে রাইট্স-এর ইঞ্জিনিয়ারেরা দক্ষিণেশ্বরে পরিদর্শন করতে যান। সেখানে কেএমডিএ-র কর্তারাও হাজির ছিলেন।

Advertisement

সোমনাথ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৫:৫২
Share:

শেষের মুখে স্কাইওয়াকের কাজ। নিজস্ব চিত্র

বাংলা নববর্ষের আগেই চালু হয়ে যাবে দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক। প্রায় ৭০ কোটি টাকায় নির্মিত ৩৭০ মিটার লম্বা এবং সাড়ে ১০ মিটার চওড়া এই স্কাইওয়াকের উপরে ১৩৮টি দোকানঘর তৈরি করা হচ্ছে। দোকানগুলির দু’পাশ দিয়ে দর্শনার্থীদের হাঁটার জন্য থাকছে প্রায় আট ফুট জায়গা। তবে ভিড় বেশি হলে ওই আট ফুটের পরিসরে তা সামাল দেওয়া যাবে কি না, সেটাই এখন ভাবাচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারদের। তাঁরা প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলেও বিষয়টি জানিয়েছেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও স্কাইওয়াকে ওই ভাবে দোকানঘর তৈরির বিরুদ্ধে।

Advertisement

নবান্ন সূত্রে খবর, স্কাইওয়াক তৈরির আগে মন্দিরে যাওয়ার যে প্রধান রাস্তা ছিল, সেখানে ফুল, পুজোর সামগ্রী, মিষ্টি-সহ নানা রকমের দোকান ছিল। স্কাইওয়াক প্রকল্পের জন্য সেই সব দোকান তুলে দেওয়ায় দোকানিরা পুনর্বাসনের দাবিতে মামলা করেন। আদালত নির্দেশ দেয়, দোকানিদের পুনর্বাসন দিতে হবে। সেই মতো স্কাইওয়াকের উপরেই দোকান করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। কেএমডিএ এই স্কাইওয়াক তৈরির দায়িত্বে রয়েছে। বিশেষজ্ঞ সংস্থা রাইট্স তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তা করছে।

কিছু দিন আগে রাইট্স-এর ইঞ্জিনিয়ারেরা দক্ষিণেশ্বরে পরিদর্শন করতে যান। সেখানে কেএমডিএ-র কর্তারাও হাজির ছিলেন। রাইট্স-এর হাইওয়ে ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার তরুণ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘প্রতিদিন পুজো দিতে মন্দিরে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। বিশেষ বিশেষ দিনে সেই সংখ্যাটা বাড়ে। দোকানিরা জিনিসপত্র দোকানের ভিতরে রেখে বিক্রি করলে অসুবিধা হবে না। কিন্তু বেশির ভাগ বাজারেই দেখা যায়, জিনিসপত্র দোকানের বাইরে রাখা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সেটা করলে সমস্যা হবে।’’

Advertisement

স্কাইওয়াকের দোকানগুলি ইট দিয়ে তৈরি হওয়ায় তাতে জায়গাটির সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে পুরমন্ত্রী বলেন, ‘‘নকশায় এমনই ছিল। স্কাইওয়াকটিকে দৃষ্টিনন্দন করা আমাদের কাজ। আধুনিক কিছু ব্যবহার করে দোকানঘর তৈরি করা যায় কি না, তা নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন