কলকাতার ডাক্তারি ছাত্রের খোঁজ মিলল কাশ্মীরে

নিঁখোজ হয়েছিলেন কলকাতা থেকে। ঘটনার ন’দিন পর আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র অভিজিৎ সিংহের খোঁজ পাওয়া গেল জম্মু-কাশ্মীরের কাটরায়। ওই ছাত্রের বাড়ি বিহারের মুজফ্ফরপুরে। সেখানকার এক প্রতিবেশী তাঁকে কাটরায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। আপাতত তাঁকে স্থানীয় থানায় রাখা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের একটি দল তাঁকে আনতে ইতিমধ্যেই কাটরার উদ্দেশে রওনা হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। তবে, কলকাতা থেকে কী ভাবে ওই ছাত্র কাটরা পৌঁছলেন সে রহস্য এখনও উন্মোচিত হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৫ ১২:৩০
Share:

অভিজিৎ সিংহ।—ফাইল চিত্র।

নিঁখোজ হয়েছিলেন কলকাতা থেকে। ঘটনার ন’দিন পর আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র অভিজিৎ সিংহের খোঁজ পাওয়া গেল জম্মু-কাশ্মীরের কাটরায়।

Advertisement

ওই ছাত্রের বাড়ি বিহারের মুজফ্ফরপুরে। সেখানকার এক প্রতিবেশী তাঁকে কাটরায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। আপাতত তাঁকে স্থানীয় থানায় রাখা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের একটি দল তাঁকে আনতে ইতিমধ্যেই কাটরার উদ্দেশে রওনা হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। তবে, কলকাতা থেকে কী ভাবে ওই ছাত্র কাটরা পৌঁছলেন সে রহস্য এখনও উন্মোচিত হয়নি।

দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অভিজিৎ থাকতেন ললিত মেমোরিয়াল ছাত্রাবাসে। পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরিতে তাঁর সঙ্গীরা জানিয়েছিলেন, গত ৬ জুন দুপুরে খাওয়ার পর তাঁকে ছাত্রাবাসের ঘরে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু, বিকেলে আর তাঁকে দেখা যায়নি। এমনকী, রাত ১০টা বেজে গেলেও খেতে না আসায় তাঁর বন্ধু এবং রুমমেটের সন্দেহ হয়। শুরু হয় খোঁজখবর। অভিজিতের দু’টি মোবাইল ও মানিব্যাগ তাঁর ঘরেই ছিল। ওই রাতেই ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষ টালা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

Advertisement

ছেলের নিঁখোজ হওয়ার খবর পেয়ে গত রবিবার রাতেই কলকাতায় এসে পৌঁছন অভিজিতের বাবা উমেশ্বর সিংহ এবং ভাই অভিনব। তাঁর খোঁজ পেতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন তাঁরা। এর পরই স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের ডিসি (২) সুজিত মিত্রের নেতৃত্বে অভিজিৎ-কাণ্ডে এক বিশেষ তদন্তকারী দল গড়া হয়। তাতে গুন্ডাদমন শাখা, সাইবার শাখার বাছাই করা অফিসাররাও ছিলেন।

গত সপ্তাহেই অভিজিতের দ্বিতীয় বর্ষের চতুর্থ সেমেস্টারের পরীক্ষা শুরু হয়। এমবিবিএসের প্রথম বর্ষের পরীক্ষাতেও ভাল ফল করেছিলেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন