মদ খাইয়ে বেহুঁশ করে ধর্ষণের অভিযোগ, ধৃত

মদ খাইয়ে বেহুঁশ করে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ভবানীপুরের বাসিন্দা ওই মহিলা অভিযোগে দায়ের করে জানান, সন্দীপ দাস ওরফে সঞ্জীব নামে তাঁর পরিচিত এক যুবকই এই কাজ করেছেন। সোমবার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে মহিলার শারীরিক পরীক্ষা হয়। সন্দীপকে সোমবার তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৫২
Share:

মদ খাইয়ে বেহুঁশ করে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ভবানীপুরের বাসিন্দা ওই মহিলা অভিযোগে দায়ের করে জানান, সন্দীপ দাস ওরফে সঞ্জীব নামে তাঁর পরিচিত এক যুবকই এই কাজ করেছেন। সোমবার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে মহিলার শারীরিক পরীক্ষা হয়। সন্দীপকে সোমবার তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) মুরলীধর শর্মা জানান, পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, রবিবার রাত পৌনে আটটা নাগাদ আলিপুর থানার ডিএল খান রোড এবং বেলভেডিয়ার রোডের মোড়ে বছর তিরিশের ওই মহিলাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। টহলরত দুই পুলিশকর্মী পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার জ্ঞান ফিরলে প্রথমে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে মহিলা ধর্ষণের অভিযোগ করেননি। শুধু জানান, সন্দীপ তাঁকে মদ খাইয়ে বেহুঁশ করেছে। দুপুরে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ আনেন।

Advertisement

সন্দীপের বাড়ি বাঁশদ্রোণী এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, এলগিন রোডের ফুটপাথে সন্দীপের একটি ভাতের হোটেল আছে। তিনি সেটি রিয়াজ নামে এক যুবককে লিজ দেন। সেখানে বাসন মাজার কাজ করতেন অভিযোগকারিণী। অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ সন্দীপ তাঁকে এলগিন রোডের কাছে একটি গলিতে নিয়ে গিয়ে জোর করে মদ খাওয়ান। তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাঁর উপরে শারীরিক অত্যাচার করেন সন্দীপ। কিন্তু তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ওই সময়ে সন্দীপ মায়ের সঙ্গে ছিলেন। পরে তিনি এলগিন রোডের এক ফুটপাথের হোটেলে বন্ধুদের সঙ্গে বহুক্ষণ আড্ডা মারেন।

পুলিশ জেনেছে, হোটেলের লিজের মেয়াদ রবিবার পেরিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রিয়াজ তা মানতে চাইছিলেন না। এ নিয়ে সন্দীপ ও রিয়াজের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। লিজ নিয়ে গোলমালের সঙ্গে ধর্ষণের অভিযোগের যোগাযোগ আছে কি না, তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তবে মহিলার অভিযোগ পাওয়ার পরে রিয়াজের খোঁজ করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে সে নিখোঁজ।

এ দিন গোয়েন্দাপ্রধান পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “অভিযোগকারিণীর রিপোর্টে প্রাথমিক ভাবে দেহে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন