Kolkata

নির্মাণ ভাঙার কারণ জানাতে হবে নির্দেশে

পুরকর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত বিল্ডিং বিভাগের একাধিক নির্দেশ ঠিক মতো বুঝতে পারেননি বলে পুরসভায় জানিয়েছিলেন অনেকে। তার পাশাপাশি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গেলেও পুর প্রশাসনকে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৩১
Share:

ফাইল চিত্র

বেআইনি নির্মাণ ভাঙা বা সেটি আইনসিদ্ধ করা, অথবা নির্মাণে কোনও পরিবর্তন সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ই খুব ‘স্পর্শকাতর’। তাই সংশ্লিষ্ট স্পেশাল অফিসার (বিল্ডিং) বা দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে নির্দেশে পরিষ্কার করে বোঝাতে হবে, কী কারণে সেটি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। কোন আইনের বলে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা-ও স্পষ্ট করে দিতে হবে। যাতে কোনও রকম বিভ্রান্তি না থাকে। সম্প্রতি এমনই নির্দেশ জারি করেছে কলকাতা পুর প্রশাসন।

Advertisement

পুরকর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত বিল্ডিং বিভাগের একাধিক নির্দেশ ঠিক মতো বুঝতে পারেননি বলে পুরসভায় জানিয়েছিলেন অনেকে। তার পাশাপাশি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গেলেও পুর প্রশাসনকে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। কেন, কোন যুক্তিতে সংশ্লিষ্ট নির্মাণ ভাঙা হচ্ছে, তা নিয়ে বিরোধিতার মুখে পড়তে হয় পুরকর্মীদের। এই সব ঘটনার ভিত্তিতেই সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, পুর আইন লঙ্ঘন করে কোন অংশ বেআইনি ভাবে তৈরি করা হয়েছে, সে সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে নথিবদ্ধ করা হবে। সেখানে স্পষ্ট করে বলতে হবে কতটুকু অংশ রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বা কতটুকু অংশ ভাঙা হবে। কতটা জায়গা পরিবর্তনের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিক, তা-ও লিখিত ভাবে বলে দিতে হবে। শুধু তা-ই নয়, পুর বিল্ডিং আইনের কোন ধারা অগ্রাহ্য করে বেআইনি নির্মাণটি করা হয়েছে, নির্দেশে সেই আইন ও তার নিরিখে কেন ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা বলে দিতে হবে। তার পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ভাঙার প্রস্তাব ‘অ্যাজেন্ডা’ আকারে প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠকে পেশ করতে হবে। এই নতুন নির্দেশের আগেও অবশ্য বেআইনি নির্মাণ ভাঙার অনুমোদনের বিষয়টি মেয়র পরিষদের বৈঠকে পেশ করতে হত। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘কেন কোনও নির্মাণ ভাঙা হল, তা নিয়ে যাতে কোনও প্রশ্ন বা অস্বচ্ছতা না থাকে, সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’’

সাম্প্রতিক অতিমারির পরিস্থিতিতে অনেকেই পুরসভায় এসে বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত শুনানিতে যোগ দিতে পারছেন না। সেই সমস্যা সমাধানের জন্যও সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, গুগল মিট বা জ়ুম, বা অন্য কোনও মাধ্যম, যা সবার পক্ষেই সুবিধাজনক হবে, সেখানে সংশ্লিষ্ট শুনানি করা যেতে পারে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন