সংস্কার হওয়া সল্টলেক স্টেডিয়ামের যুব আবাস উদ্বোধনের পরে (বাঁ দিক থেকে) মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রীর ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার। —নিজস্ব চিত্র
আগামী বছরের মধ্যে নবরূপে চালু হয়ে যাবে রাজ্যের ৪০টি যুব আবাস। বৃহস্পতিবার সল্টলেক স্টেডিয়ামের যুব আবাসের উদ্বোধনে এসে এ কথা জানান যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, “কলকাতা-সহ রাজ্যের যুব আবাসগুলির বেশিরভাগেরই ভগ্নদশা ছিল। সেগুলির সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। এ বছরই ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কার করে পুরোদমে চালু করে দেওয়া হবে ১৮টি। আর ২০১৫-র মধ্যে চালু হয়ে যাবে ৪০টি ইউথ হস্টেল।”
বৃহস্পতিবার বিকেলে গঙ্গাসাগর থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সল্টলেক স্টেডিয়ামে নবরূপে নির্মিত যুব আবাসটির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এর নাম দিয়েছেন ‘নব প্রজন্ম’। এ দিন স্টেডিয়াম চত্বরে এই উপলক্ষে অনুষ্ঠানে অরূপবাবু ছাড়াও ছিলেন এলাকার সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার, বিধায়ক সুজিত বসু, বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী এবং যুবকল্যাণ দফতর ও পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা। অরূপবাবু বলেন, “সল্টলেক স্টেডিয়ামের যুব আবাসের এতটাই ভগ্নদশা ছিল যে মাঝেমধ্যে সিলিং থেকে চাঙড়ও ভেঙে পড়ত। সেই অবস্থা থেকে মাত্র ২১ মাসে একটি ঝকঝকে যুব আবাস তৈরি হয়েছে।” মৌলালির যুব আবাসটিও নতুন করে তৈরি করা হয়েছে বলে জানান অরূপবাবু। তিনি জানান, সল্টলেকে এখন নানা ধরনের খেলাধুলো হচ্ছে। আন্তর্জাতিক থেকে শুরু করে আন্তঃরাজ্যের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা হয়। সেই সব প্রতিযোগিতার খেলোয়াড় ও সঙ্গে আসা লোকজন এই নতুন যুব আবাসে থাকতে পারবেন। বিধায়ক সুজিতবাবু বলেন, “সল্টলেকে যুব আবাসের ভগ্নদশা নিয়ে অন্য রাজ্যের খেলোয়াড়দের কাছেও নানা অভিযোগ শোনা গিয়েছে। এ বার সেই চিত্রটা পুরো বদলে গেল।” যুবকল্যাণ দফতর সূত্রে খবর, ১১৪০টি শয্যাবিশিষ্ট ডরমেটারি ছাড়াও লাক্সারি স্যুইট, ডিলাক্স রুম, এগ্জিকিউটিভ রুম, সস্তার ক্যান্টিন, ইন্ডোর গেম খেলার জায়গা থাকবে এখানে। এ দিন যুব আবাস উদ্বোধনের পর সেখানে ঘুরে দেখেন নেতা মন্ত্রী ও সাধারণ মানুষ।