লোকালয়ে পুড়ছে আবর্জনা, মানছে না পুরসভা

দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, জলাশয় বোজানো বেআইনি। পাশাপাশি জনবহুল এলাকায় বর্জ্য পোড়ালে পরিবেশের ভয়াবহ ক্ষতি হয়।

Advertisement

জয়তী রাহা

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:৫৮
Share:

দূষণ: এই পুকুরটি বুজিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ছিল পুকুর। হল আবাসন। জলাশয়ের এমন বদলেই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল কলকাতা ও তার শহরতলি। তাতে পরিবেশের ভারসাম্য যেমন নষ্ট হচ্ছিল, তেমনই এলাকায় আগুন লাগলে জলের অভাব বড় মাথাব্যথা হয়ে উঠেছিল। এ সব ভেবেই জলাশয়ের এই রূপান্তর থামাতে উদ্যোগী হয় রাজ্য প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসনগুলির কাছে নির্দেশ দেওয়া হয়, কোনও জলাশয় ভরাট করা যাবে না। বরং তা সংরক্ষণ করতে হবে।

Advertisement

কিন্তু তা যে যথাযথ ভাবে মানা হচ্ছে না, তার প্রমাণ গড়িয়া স্টেশন রোড সংলগ্ন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত একটি জলাশয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় পাঁচ কাঠা জায়গা নিয়ে এই পুকুরটি। কাছেই রয়েছে হরিমতি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এবং বরদাপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বিপরীতের এই পুকুর এখন আবর্জনার চাপে বুজে গিয়েছে অর্ধেকেরও বেশি।

গড়িয়া প্লেসের এক বাসিন্দা জানান, আশপাশে অসংখ্য বাড়ি গজিয়ে উঠেছে কয়েক বছরে। ওই এলাকার এমনই একটি পুকুর একই ভাবে বুজিয়ে মাথা তুলেছে আবাসন। স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকদের অভিযোগ, দুর্গন্ধের জন্য একেক সময়ে দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। সেই সঙ্গে রয়েছে আবর্জনা পোড়ানোর অভিযোগও। সেই কটূগন্ধ এড়াতে বাড়ির দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখতে হয় বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এক প্রৌঢ় বাসিন্দা জানান, বছর কুড়ি আগে এই পুকুরে লোকে স্নান করতেন। এখন লরি করে এনে ময়লা ফেলা দেওয়া হয়। দেখেও দেখে না পুর প্রশাসন। এর জেরে দিন দিন পরিস্থিতি দুর্বিষহ হয়ে উঠছে।

Advertisement

পুকুরের পাশেই পোড়ানো হচ্ছে জঞ্জাল।

দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, জলাশয় বোজানো বেআইনি। পাশাপাশি জনবহুল এলাকায় বর্জ্য পোড়ালে পরিবেশের ভয়াবহ ক্ষতি হয়।

পুরো বিষয়টি অস্বীকার করছেন রাজপুর সোনারপুর পুর কর্তৃপক্ষ। এক কর্তা জানান, এলাকায় পুকুর ভরাটের অভিযোগ করেননি বাসিন্দারা। তাঁরা লিখিত অভিযোগ জানালে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

—নিজস্ব চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন