Rickshaw Puller

শ্মশানে এসে গঙ্গায় তলিয়ে গেলেন রিকশাচালক

তাঁর পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ বাপির খোঁজে ভাল করে তল্লাশি না চালিয়েই পরিজনদের বাড়ি ফিরে যেতে বলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৩০
Share:

ছবি: সংগৃহীত

শ্মশানে শবদাহ করতে এসে বানের জলে তলিয়ে গেলেন এক ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ ব্যক্তির নাম বাপি মণ্ডল। পেশায় রিকশাচালক। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ বাপির খোঁজে ভাল করে তল্লাশি না চালিয়েই পরিজনদের বাড়ি ফিরে যেতে বলে। বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে শিবপুর লঞ্চঘাটে। নিখোঁজ বাপির বাড়ি শিবপুরের গুলাম হোসেন সর্দার লেনে।

Advertisement

বাপির পরিবারের দাবি, এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটার পরে কলকাতা রিভার ট্র্যাফিক ও হাওড়া সিটি পুলিশের লঞ্চ তল্লাশি শুরু করলেও ঘণ্টা দুয়েক পরেই তারা চলে যায়। যাওয়ার আগে পুলিশ বাপির আত্মীয়দের বাড়ি চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয় বলে অভিযোগ। পুলিশের ওই আচরণে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ বাপির পরিবার।

এ দিন সকালে বাপির এক আত্মীয়ের মৃত্যু হয়। তিনি বাপির পাড়াতেই থাকতেন। এ দিন তাই কাজে না বেরিয়ে অন্য আত্মীয়স্বজন ও এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে শিবপুর শ্মশানঘাটে দাহকাজ করতে যান বাপি। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ মৃতদেহ সৎকারের কাজ শেষ হলে সকলে মিলে শিবপুর লঞ্চঘাটে গঙ্গায় স্নান করতে যান। পুলিশ জানায়, সকলে স্নান সেরে উঠে পড়লেও বাপি তখনও গঙ্গায় সাঁতার কাটছিলেন। ওই সময়ে হঠাৎ বান এসে যায়। জলের তোড়ে ভেসে যান বাপি।

Advertisement

শ্মশানে আসা বাপির সঙ্গীরা জানান, ঘটনার পরেই ‘জলসাথী’ কর্মীরা লঞ্চঘাট থেকে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। চলে আসে রিভার ট্র্যাফিক পুলিশও। খবর পেয়ে বাপির পাড়া থেকে লোকজন ছুটে আসেন। ভিড় জমে যায় শিবপুর লঞ্চঘাটে। শ্মশানযাত্রীদের অভিযোগ, কিছু ক্ষণ খোঁজার পরে রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ তল্লাশি বন্ধ করে চলে যায়। ফিরে যায় হাওড়া সিটি পুলিশও। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পুতুল বারি বলেন, ‘‘আমরা দেখলাম, বাপিদা ভেসে যেতে যেতে জেটির লোহার বিম ধরে বাঁচার চেষ্টা করছেন। হাত নেড়ে আমাদের ডাকছেন। কিন্তু আমরা কিছু করতে পারিনি। বানের তোড়ে ভেসে গেলেন আমাদের চোখের সামনে। কিন্তু পুলিশ না খুঁজেই চলে গেল কেন? আমাদেরও চলে যেতে বলল!’’

হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘জোয়ারের সময়ে তল্লাশি চালানো যাচ্ছিল না বলেই ফিরে গিয়েছিল বাহিনী।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন