এ ভাবেই ভেঙে রয়েছে রাস্তার একাংশ। — নিজস্ব চিত্র
প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের একাংশের কয়েকটি জায়গা মেরামতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পুরসভা। স্থির ছিল চলতি বছর এপ্রিলে মেরামতি শেষ হবে। কিন্তু সেই কাজ শুরুই করতে পারেনি কলকাতা পুরসভা।
পুরসভা সূত্রে খবর, লর্ডসের মোড়ের ফুটপাথ এবং রাস্তার মাঝে যে কার্ভ চ্যানেল রয়েছে সেগুলি ভেঙে গিয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সেখানে জল দাঁড়িয়ে যায়। রাস্তার ধারের খাবারের দোকানগুলি থেকেও জল এসে এই কার্ভ চ্যানেলগুলিতে জমা হয়। পাশ দিয়েই চলে বাস এবং অটো। পথচারীদের অভিযোগ, জায়গাটা উচ্ছিষ্ট-জলে এতটাই পিছল হয়ে থাকে যে রাস্তা থেকে ফুটপাথে উঠতে সমস্যা হয়।
কিন্তু কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (রাস্তা) রতন দে বলেন, ‘‘আনোয়ার শাহ রোড থেকে শুরু করে আনোয়ার শাহ রোড কানেক্টরের বিস্তীর্ণ অংশে পিচ দেওয়ার কাজ চলছে। সেই কাজ প্রায় শেষ। কিন্তু বিস্তীর্ণ ওই রাস্তার কয়েক জায়গায় মেরামতি করা এখনই সম্ভব হচ্ছে না।’’
প্রসঙ্গত, আনোয়ার শাহ রোড কানেক্টর অতীতে কেএমডিএ-এর অধীনে ছিল। রাস্তার বেহাল অবস্থা নিয়ে অভিযোগ ছিল তখনও। গত পুরবোর্ডের সময়েই কেএমডিএ কলকাতা পুরসভাকে রাস্তাটি হস্তান্তর করে। বর্তমানে এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পুরসভার।
রতনবাবু জানান, এখন মেরামতি করতে গেলে রাস্তার ধারে মালপত্র স্তুপ করে রাখতে হবে। তাতে প্রবল যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন তাই রাস্তার ধারে মালপত্র রাখা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়দের ক্ষোভ, ফুটপাথেরও কিছু জায়গায় ‘পেভার ব্লক’ উঠে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা বাসুদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘লর্ডসের মো়ড়-সহ এলাকার বহু জায়গায় মেরামতির প্রয়োজন। পুরসভাকে বার বার বলা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি।’’ রতনবাবু এলাকার কাউন্সিলরও। তিনি জানান, এই রাস্তার কোন কোন অংশে মেরামতির প্রয়োজন তা চিহ্নিত করা হয়েছে। পথচারীদের যাতায়াতের জন্য রাস্তার ধারে এবং ফুটপাথে যে সব দোকান রয়েছে তাঁদের একাংশ ছেড়ে বসতে বলা হয়েছে। ফুটপাথ ও সংলগ্ন রাস্তায় দোকানের বর্জ্য ফেলতে নিষেধও করা হয়েছে।