বেহাল রাস্তায় বিপজ্জনক চলাচল

বন্দর এলাকার প্রধান রাস্তা। মেটিয়াবুরুজ এবং গার্ডেনরিচের কিছু এলাকায় যেতে গেলে এই রাস্তাই প্রধান ভরসা। সব-সময়ই বড় বড় ট্রেলার যাতায়াত করে। কিন্তু সেই রাস্তাই গর্তে ভরা। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। রয়েছে ধুলোর সমস্যাও। বিকল্প হিসেবে কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ) তৈরি করছে উড়ালপুল। তবে সেটি কবে শেষ হবে তা নিয়ে সংশয়ে বাসিন্দারা।

Advertisement

দীক্ষা ভুঁইয়া

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৫ ০০:১৪
Share:

চেনা ছবি। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য।

বন্দর এলাকার প্রধান রাস্তা। মেটিয়াবুরুজ এবং গার্ডেনরিচের কিছু এলাকায় যেতে গেলে এই রাস্তাই প্রধান ভরসা। সব-সময়ই বড় বড় ট্রেলার যাতায়াত করে। কিন্তু সেই রাস্তাই গর্তে ভরা। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। রয়েছে ধুলোর সমস্যাও। বিকল্প হিসেবে কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ) তৈরি করছে উড়ালপুল। তবে সেটি কবে শেষ হবে তা নিয়ে সংশয়ে বাসিন্দারা।

Advertisement

খিদিরপুর থেকে মেয়টিয়াবুরুজ পাহারপুর রোড কিংবা গার্ডেনরিচের কিছু অংশে যাতায়াতের জন্য সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড কিংবা কার্ল মার্কস সরণিই একমাত্র ভরসা। বন্দর এলাকার এই রাস্তা দিয়ে সারা দিন বড় ব়ড় ট্রেলার, বিশেষ করে ১৬ চাকার পণ্যবাহী ট্রেলারগুলি যাতায়াত করার ফলেই রাস্তাগুলি ভেঙে যায় বলে অভিযোগ। অটো, বাসকেও এই রাস্তাই ব্যবহার করতে হয়।

খারাপ রাস্তার জন্যই দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে বলে অভিযোগ। যানজটে আটকে যায় অ্যাম্বুল্যান্সও। মেটিয়াবুরুজের পাহাড়পুর এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ আজিজ জানান, যানজটে আটকে এক পরিচিতকে ঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি। তাঁকে বাঁচানো যায়নি।

Advertisement

সম্প্রতি এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে কেএমডিএ গার্ডেনরিচ থেকে কাঁটাপুকুর পর্যন্ত একটি উড়ালপুল নির্মাণ শুরু করেছে। এই সমস্যার কথা স্বীকার করে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, ওই রাস্তাটি বন্দর এলাকার হওয়ায়, ওখানে কোনও বিকল্প ব্যবস্থা করা যাচ্ছিল না। তা ছাড়া বাবুবাজার এলাকায় বন্দরের একটি ব্রিজ রয়েছে। জাহাজ আসা-যাওয়ার সময়ে ব্রিজটি ওঠা-নামা করার জন্য উড়ালপুল বা বিকল্প ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই মেটিয়াবুরুজ এবং গার্ডেনরিচের মানুষের জন্য গার্ডেনরিচ থেকে কাঁটাপুকুর পর্যন্ত একটি উড়ালপুল তৈরি করা হচ্ছে। এতে ওই সব এলাকার মানুষের সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে। মন্ত্রী জানান, ১৮ মাসের এই প্রকল্পটির ইতিমধ্যেই ৮ মাসে কিছু কাজ এগিয়েছে। আশা করা হচ্ছে বাকি কাজ ঠিক সময়ে শেষ হবে।

মেটিয়াবুরুজ, গার্ডেনরিচের নিত্য যাত্রীদের দাবি, দ্রুত উড়ারপুলের কাজ শেষ হোক। তা ছাড়া ভাঙা রাস্তার ধুলোয় দম বন্ধ হয়ে আসে। যদিও এই রাস্তাটি আপাতত সারানোর দরকার থাকলেও, সেটি কার দায়িত্ব তা নিয়েও দ্বন্দ্ব রয়েছে। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি, এটি বন্দরের রাস্তা। তাই রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ওঁদেরই। রাস্তাটির মালিকানা যে তাঁদের তা স্বীকার করে নিলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ রক্ষণাবক্ষণের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন