হাইকোর্টে যাচ্ছেন সাম্বিয়া

একই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন এবং অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর ধারা রাখা যায় কি না, তা জানতে পুলিশ আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছে। একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই দু’টি ধারায় বিচার কী ভাবে চলবে, তা নিয়ে আইনজীবীদের একাংশ প্রশ্নও তুলেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৭ ০১:৩৭
Share:

সাম্বিয়া সোহরাব।

তাঁর বিরুদ্ধে একই সঙ্গে খুন এবং অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর দু’টি ধারা প্রয়োগের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাচ্ছেন সাম্বিয়া সোহরাব।

Advertisement

গত বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের মহড়া চলাকালীন রেড রোডে বায়ুসেনার কর্পোরাল অভিমন্যু গৌড়কে চাপা দিয়ে মেরে ফেলার ঘটনায় সাম্বিয়া, তাঁর দুই বন্ধু জনি, শানু এবং বাবা মহম্মদ সোহরাবের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ। শেষের তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাঁরা সাম্বিয়াকে পালাতে সাহায্য করেছেন। শুক্রবার নগর দায়রা আদালতের দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট ওই তিন জনকে খালাস করে দেয়। বিচারক সাম্বিয়ার বিরুদ্ধে খুন (৩০২), অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটানো (৩০৪), খুনের চেষ্টা (৩০৭)-সহ একাধিক ধারায় চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করতে বলেন।

একই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন এবং অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর ধারা রাখা যায় কি না, তা জানতে পুলিশ আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছে। একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই দু’টি ধারায় বিচার কী ভাবে চলবে, তা নিয়ে আইনজীবীদের একাংশ প্রশ্নও তুলেছেন। তাঁদের অন্য অংশ আবার বলছেন, বিচার শেষে বিচারক কোনও একটিকে বেছে নিতে পারবেন বা বাদ দিতে পারবেন দু’টি ধারাই।

Advertisement

সাম্বিয়ার তরফে দাবি, ওই দু’টি ধারাই বাতিল করা হোক। সোমবার তাঁর তরফে দুই আইনজীবী, ফজলে আহমেদ এবং অশোক বক্সী জানিয়েছেন, তাঁরা হাইকোর্টে যাবেন। তাঁদের দাবি, ওই ঘটনায় কোনও ভাবেই খুনের ধারা যুক্ত হতে পারে না। অবহেলায় মৃত্যুর ধারাতেই যাতে সাম্বিয়ার বিরুদ্ধে চার্জ গঠিত হয়, সেই আবেদন করা হবে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

পুলিশও মহম্মদ সোহরাব এবং সাম্বিয়ার দুই বন্ধুকে খালাস করার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাচ্ছে। তদন্তকারীদের বক্তব্য, মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে গেলে ওই তিন জন সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement