সাজ: প্রশাসনিক বৈঠকের প্রস্তুতি। বৃহস্পতিবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
দেড় মাসের কাজ কার্যত শেষ হল ছ’দিনে! খোলনলচে বদলে সেজে ওঠা শরৎ সদনের আজ, শুক্রবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে চলেছে হাওড়া জেলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক দিয়েই। তার জন্য বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত চলল শরৎ সদন সংস্কার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে প্রেক্ষাগৃহ পরিদর্শনের পরে হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী শরৎ সদনে বৈঠকের ইচ্ছা প্রকাশ করায় দিনরাত খেটে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হল।’’
শরৎ সদন চত্বরে নীল সাদা রঙের কাপড়ে বাঁধা হচ্ছে ম্যারাপ। দর্জি বসিয়ে চলছে সেলাই। স্টেজে সাদা কাপড়ে ঢাকা চেয়ার-টেবিল পাতা। মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর বড় চেয়ারটি নীল রঙের। স্টেজ জুড়ে নীল-সাদা আলো। দর্শকাসনেও নীল রঙের ছোঁয়া। অতিথিদের জন্য রয়েছে সাদা সোফা।
পুরসভা সূত্রের খবর, বৈঠকে ৫০০ জনের বসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ এসেছিল নবান্ন থেকে। সেই মতো নীচে ও দোতলায় ব্যালকনির বেশ কয়েকটি আসন প্রস্তুত করা হয়েছে। দোতলার বাকি অংশ নিরাপত্তাজনিত কারণেই কাপড়ে মোড়া রয়েছে। প্রেক্ষাগৃহের ভিতরে কেন্দ্রীয় ভাবে বাতানুকূল যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষা করেন রথীনবাবু। আজকের এই প্রশাসনিক বৈঠক সামনে থেকে দেখতে বিশ্বভারতীর ৫০ জন পড়ুয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রথীনবাবু বলেন, ‘‘প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কাজে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে আগ্রহী করবে। উন্নত বাংলা গড়তে এটি মুখ্যমন্ত্রীর যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।’’
মেয়র পরিষদ দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় জানান, প্রেক্ষাগৃহ ভিতর শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখার প্রতিলিপি-সহ মনীষীদের ছবিতে সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি ফোরশোর রোডের দু’ধারের দেওয়ালেও নীল-সাদা রঙের প্রলেপ। সাজানো হয়েছে রাস্তার ধারের বাগান ও বুলেভার্ড। বিরোধীদের অভিযোগ, ব্যক্তিগত দেওয়ালও রং করেছে পুরসভা। মেয়রের দাবি, ‘‘মালিকেরা স্বেচ্ছায় দেওয়াল রং করতে দিয়েছেন।’’ গত বছরও প্রশাসনিক বৈঠকে এসে হাওড়া পুরসভার রাস্তার ধারের উদ্যান ও সৌন্দর্যায়নের প্রশংসা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজকের বৈঠক থেকে ১০টি সরকারি প্রকল্প ও দু’টি পুরসভা প্রকল্পের উদ্বোধনও করবেন মুখ্যমন্ত্রী।