বিভাসের দাদা বিকাশের পড়াশোনার দায়িত্বে স্কুল

নাগেরবাজারের কাজিপাড়া বিস্ফোরণ-কাণ্ডে মৃত আট বছরের শিশু বিভাস ঘোষের দাদা বিকাশ ঘোষের তিন বছরের জন্য পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব নিলেন তার স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:৪৮
Share:

বিভাস ঘোষ।

নাগেরবাজারের কাজিপাড়া বিস্ফোরণ-কাণ্ডে মৃত আট বছরের শিশু বিভাস ঘোষের দাদা বিকাশ ঘোষের তিন বছরের জন্য পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব নিলেন তার স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

মঙ্গলবারের বিস্ফোরণে দমদমের কে কে হিন্দু অ্যাকাডেমির ছাত্র বিভাসের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও ১০ জন। আহতদের সেই তালিকায় বিকাশের মা সীতা ঘোষও রয়েছেন। শনিবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক-সহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যেরা এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন সীতাকে দেখতে যান। সেখানেই শিক্ষকদের তরফে জানানো হয়, বিকাশের পড়াশোনার যাবতীয়
দায়িত্ব স্কুল কর্তৃপক্ষ বহন করবেন। সন্তানদের মানুষ করার জন্য বিভাসের বাবা জন্মেজয় মিষ্টির দোকানে এবং মা সীতা পরিচারিকার কাজ করতেন। বিস্ফোরণে জখম সীতা সুস্থ হলেও পরিচারিকার কাজ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দিহান পরিজনেরা। সীতার ডান দিকের কানের শ্রবণ শক্তি নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে।

এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন বিস্ফোরণে জখম শুভম দে-র শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর কাকা পিন্টু। আরজি করে চিকিৎসাধীন ফলবিক্রেতা অজিত হালদারের শারীরিক পরিস্থিতি একই রকম ভাবে সঙ্কটজনক। সেখানে আরও যে চার জন ভর্তি রয়েছেন, রুটির দোকানের মালিক চন্দ্রশেখর গুপ্ত, হার্ডওয়্যারের দোকানের কর্মী নব দাস আগের তুলনায় ভাল আছেন। মিষ্টির দোকানের কর্মী হারান সরকার বাঁ কানে কম শুনছেন। ধোপা শরৎ শেঠীর শরীরের বাঁ দিকের অংশ ঝলসে গিয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ক্ষত শুকোনোর জন্য অন্তত মাসদুয়েক সময় লাগবে।

Advertisement

চন্দ্রশেখরের ছেলে প্রেমকুমার গুপ্ত বলেন, ‘‘বাবা দোকানের বাইরে বেঞ্চের উপরে বসেছিলেন। শরতের সঙ্গে গল্প করছিলাম। আচমকা বিস্ফোরণে কানে তালা লেগে গেল।’’ ফল বিক্রেতা অজিতের আশপাশে কি সন্দেহভাজন কেউ ছিল? প্রেম বলেন, ‘‘আমি দোকানের ভিতরে ছিলাম। বাবা বা শরৎই ভাল বলতে পারবে।’’ বিস্ফোরণে জখম সঙ্গীতা প্রসাদের শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে নাগেরবাজারের বেসরকারি হাসপাতালের কর্ণধার নিবেদিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সঙ্গীতার শারীরিক পরিস্থিতির খানিক উন্নতি হয়েছে। সংক্রমণই প্রধান
উদ্বেগের কারণ।’’

এ দিন জখমদের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ রাজ্য সরকারকে বহন করতে হবে, এই দাবিতে নাগেরবাজারের সাতগাছি মোড় থেকে মিছিল করে কংগ্রেস। পরে সেই মিছিল দমদম থানায়
যায়। সেখানে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি
দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন