প্রৌঢ়ের দেহ নিয়ে ফ্ল্যাটে বসে পরিবার

পা মাটি ছুঁইছুঁই। কোমরের নীচের অংশে কম্বল জড়ানো। দেহে পচন ধরেছে। দুর্গন্ধে টেকা দায়! অথচ, ওই ফ্ল্যাটেই তখন উপস্থিত মৃতের বাবা, মা ও বোন!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

দু’কামরার ফ্ল্যাট। তারই একটি ঘরে বিছানায় শোয়ানো এক মৃতদেহ। পা মাটি ছুঁইছুঁই। কোমরের নীচের অংশে কম্বল জড়ানো। দেহে পচন ধরেছে। দুর্গন্ধে টেকা দায়! অথচ, ওই ফ্ল্যাটেই তখন উপস্থিত মৃতের বাবা, মা ও বোন!

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে সরশুনার রাখাল মুখার্জি রোডের এক বহুতল থেকে এই অবস্থাতেই একটি দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় (৫৬)। এ দিন সকালে ওই ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে থাকায় প্রতিবেশীরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায়। পুলিশের অনুমান, দেহটি দু’-তিন দিনের পুরনো। তাই এ দিনের ঘটনায় সরশুনা এলাকার অনেকেরই মনে পড়ে গিয়েছে রবিনসন স্ট্রিট-কাণ্ডের কথা। পার্থ দে নামে এক ব্যক্তি তাঁর দিদির মৃতদেহ ফ্ল্যাটে রেখে দিয়েছিলেন বেশ কয়েক দিন। এক প্রতিবেশীর কথায়, ‘‘ওই পরিবার কারও সঙ্গেই মেশে না।’’

পুলিশ জানায়, বাবা রবীন্দ্রনাথ, বোন নীলাঞ্জনা এবং মায়ের সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন দেবাশিস। রবীন্দ্রনাথবাবু বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। তাঁর ছেলে-মেয়ের কেউই বিয়ে করেননি। দেবাশিসের মৃগী ছিল। রবীন্দ্রনাথবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, শনিবার শরীর খারাপ হয়েছিল দেবাশিসের। তবে সুস্থও হয়ে যান। এ দিন সকালে তাঁর শরীর ফের খারাপ হলে চিকিৎসককে ডাকতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চিকিৎসক আসেননি।

Advertisement

পুলিশের দাবি, রবীন্দ্রনাথবাবু অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন। তাঁর পক্ষে হেঁটে তিনতলা থেকে নেমে চিকিৎসককে ডাকতে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। মৃতের বোন নীলাঞ্জনা অবশ্য জানিয়েছেন, দাদার মৃত্যু হয়েছে শনিবারই। তাঁর কথায়, ‘‘কারও থেকেই সাহায্য পাইনি আমরা। বাড়ির লোকের থেকে যখন সাহায্য চাইলাম, তাঁরা পুলিশে ফোন করলেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন