পরিচিতই জড়িত খুনে, দাবি পুলিশের

তবে বৃদ্ধার মাথার পিছনে যে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে, সেটি সম্ভবত পড়ে গিয়ে হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এক অফিসার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দেহ উদ্ধার হওয়ার দিন দুই আগে খুন হন শ্যামলীদেবী। পরিচিত কেউই তাঁকে খুন করেছে বলে নিশ্চিত তদন্তকারীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৯ ০১:০২
Share:

প্রতীকী চিত্র।

যোধপুর পার্কের বৃদ্ধা শ্যামলী ঘোষকে প্রথমে গলায় ফাঁস দিয়ে, পরে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। ময়না-তদম্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরে এমনই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে বৃদ্ধার মাথার পিছনে যে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে, সেটি সম্ভবত পড়ে গিয়ে হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এক অফিসার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দেহ উদ্ধার হওয়ার দিন দুই আগে খুন হন শ্যামলীদেবী। পরিচিত কেউই তাঁকে খুন করেছে বলে নিশ্চিত তদন্তকারীরা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, আততায়ী শ্যামলীদেবীকে খুন করে তাঁর কোনও জিনিসপত্রে হাত দেয়নি। তবে ওই বৃদ্ধার মোবাইলটি ঘটনার পর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। যা থেকে তদন্তকারীরা মনে করছেন, যে-ই শ্যামলীদেবীকে খুন করে থাকুক, সে আসার আগে তাঁকে ফোন করেছিল। আর খুনের পরে ফ্ল্যাট ছাড়ার আগে মোবাইলটি নিয়ে যায়। যদিও বৃদ্ধার

ফোনের কল লিস্ট ঘেঁটে তদন্তকারীরা জেনেছেন, শ্যামলীদেবী গত ৩০ মার্চ শেষ ফোন করেছিলেন তাঁর বোনকে। তার পর থেকে ওই বৃদ্ধাকে কেউ ফোন করেনি। তিনিও কাউকে ফোন করেননি। ফলে কে শ্যামলীদেবীকে খুন করতে পারে, সেই প্রশ্ন জোরালো হয়েছে।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

তদন্তকারীদের দাবি, তাঁরা ওই বৃদ্ধার ফ্ল্যাট থেকে একটি নোটবুক পেয়েছেন। কারা কারা, কবে তাঁর কাছে আসবেন, তা তারিখ দিয়ে লিখে রাখতেন শ্যামলীদেবী। তাঁর কাছে শেষ বার কে বা কারা এসেছিলেন, ওই নোটবুক থেকে দেখে তা বার করছেন

তদন্তকারীরা। সেই মতো তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেই তালিকায় রয়েছেন শ্যামলীদেবীর ফ্ল্যাটে এবং ওই আবাসনে কাজ করা এক মালি, বৃদ্ধার পুরনো গাড়ির চালক এবং কাগজ বিক্রেতা।

তবে সম্পত্তিজনিত কারণে যে শ্যামলীদেবীকে খুন করা হয়নি, সে ব্যাপারে এক রকম নিশ্চিত গোয়েন্দারা। কারণ বৃদ্ধার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তাঁর জমানো টাকা-পয়সা কমে এসেছিল। পাশাপাশি, খুনের পরে তাঁর মোবাইল ছাড়া আর কোনও জিনিসও খোয়া যায়নি। সেখানেই প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কীসের জন্য খুন হলেন শ্যামলীদেবী? পুলিশ জানিয়েছে, যোধপুর পার্কের যে ফ্ল্যাটে তিনি থাকতেন, সেটি এখনও তাঁর বাবার নামে রয়েছে। শ্যামলীদেবী ছাড়াও তাঁর বোন দীপালি মিত্র ওই ফ্ল্যাটের ভাগীদার। তবে পুলিশের দাবি, এই খুনের পিছনে দীপালিদেবী বা তাঁর পরিবার কোনও ভাবেই জড়িত নয়।

তা হলে কে খুন করল বৃদ্ধাকে? তদন্তকারী এক অফিসার জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই কিছু সূত্র পেয়েছেন। সেই মতো তদন্ত এগোচ্ছে। শীঘ্রই খুনি ধরা পড়বে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন