শ্যামপুকুর থানা ভাঙচুরে গ্রেফতার হয়নি কেউ

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ ২১:৪৭
Share:

শ্যামপুকুর থানা ভাঙচুরের ঘটনায় শনিবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ পাঁচ-ছ’জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা পরেও কেউ ধরা না পড়ায় নীচুতলার পুলিশ কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

তাঁদের প্রশ্ন, যে কানা রাজা বাগান বস্তির বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে থানা ভাঙচুর এবং আটক কিশোরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ, উঠেছে তার দূরত্ব শ্যামপুকুর থানা থেকে মাত্র কয়েকশো গজ। তারপরেও এই ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় কি করে? পুলিশের একাংশ জানাচ্ছে কাউকে গ্রেফতার তো দূরের কথা শনিবার ওই এলাকার কাছে ঘেষেননি থানার কোনও পুলিশ কর্মী।

শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ শ্যামপুকুর থানা ভাঙচুর করে পুলিশের হেফাজত থেকে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। এই ঘটনায় তিন জন পুলিশ কর্মী জখমও হন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশের পাল্টা মারে এক মহিলা সহ এলাকারও তিন বাসিন্দা জখম হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাতেইএলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী যায়। শুক্রবার রাতে শ্যামপুকুর থানার সামনে গিয়ে দেখা যায় পুলিশ কর্মীরা গেটে তালা দিয়ে থানার মধ্যে বসে রয়েছেন। থানায় পুলিশ ছাড়া বাইরের কোনও ব্যক্তিকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

Advertisement

স্বাভাবিকভাবেই থানা ভাঙচুর এবং পরবর্তী ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশের নীচু তলার কর্মীদের মধ্যে এখন একটাই কথা, কিসের এত ভয়! যে থানা ভাঙচুরের অভিযোগে কাউকে ধরে শাস্তি দেওয়া যায় না। এই প্রশ্নের কোনও উত্তর অবশ্য পাওয়া যায়নি উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্তাদের কাছ থেকে। শ্যামপুকুর থানা ভাঙচুরের ঘটনায় শনিবার রাত পর্যন্ত কেউ ধরা পড়লো না কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে নর্থ ডিভিশনের ডিসি শুভঙ্কর সিংহ সরকার বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন