দোকানদারদের হাজারো প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ অগ্রাহ্য করেই দক্ষিণেশ্বরে স্কাই ওয়াক তৈরির কাজ শুরু করল সরকার। শনিবার ওই কাজের প্রথম ধাপ হিসেবে এলাকায় ড্রোনের সাহায্যে সমীক্ষা চালায় প্রকল্প নির্মাণকারী সংস্থা ও কেএমডিএ।
কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের গোপাল সাহা বলেন, ‘‘সরকার যে সিদ্ধান্ত থেকে এক চুলও নড়বে না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল। তাই দোকানদারদের বাধাকে অগ্রাহ্য করেই প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু করা হল। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের স্কাই ওয়াকের কাজ শেষ করা হবে।’’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, এ দিনও সমীক্ষা চালানোর সময়ে আধিকারিকদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন দোকানদারেরা। কিন্তু কড়া পুলিশি পাহারায় শেষ পর্যন্ত তাঁরা সমীক্ষা শেষ করেন। এর আগে প্রকল্পের শিলান্যাসের ফলক রানি রাসমণি রোডে লাগাতে গেলে কেএমডিএ আধিকারিকদের বাধা দিয়েছিলেন দোকানদারেরা।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে ‘দক্ষিণেশ্বর রানি রাসমণি রোড দোকানদার সমিতি’-র সম্পাদক অজিত সিংহ বলেন, ‘‘আমরা বাধা দিইনি। প্রশাসন আমাদের অন্ধকারে রেখে কেন সমীক্ষা করছে, বুঝছি না। তাই জানতে চেয়েছিলাম, কী হচ্ছে।’’ গোপালবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘সরকার কাজের জন্য সমীক্ষা করতেই পারে। কাউকে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নয়। তবে দোকানদারদের সঙ্গে সুষ্ঠু আলোচনার পথ এখনও খোলা আছে। চাইলে তা করাই যায়।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে র্যাফ ও বেলঘরিয়া থানার পুলিশ বাহিনী নিয়ে দক্ষিণেশ্বর রানি রাসমণি রোডে আসেন স্কাই ওয়াক নির্মাণকারী সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার এবং কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা। ড্রোন দিয়ে এলাকার ছবিও তোলা হচ্ছিল। দোকানদারদের অভিযোগ, কী হচ্ছে জানতে চাইলে পুলিশকর্তারা তাঁদের জানান জঙ্গি হামলা রুখতে দক্ষিণেশ্বরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। অজিতবাবু বলেন, ‘‘নিরাপত্তা দিতে স্কাই ওয়াক তৈরির নির্মাণকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের কেন সঙ্গে আনা হয়েছে, সেটুকুই জানতে চেয়েছিলাম।’’ এর পরেই ১৩৭টি দোকান বন্ধ করে পথসভা শুরু করেন অজিতবাবুরা। তিনি জানান, তখন বিনা অনুমতিতে সভার অভিযোগে পুলিশ তাঁদের মাইক বাজেযাপ্ত করে। বিকেলে দোকানদারেরা এর প্রতিবাদে মিছিল করেন। গোপালবাবু বলেন, ‘‘কাজ হবেই, এটা অনেক আগেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তার পরেও এ সব বিক্ষোভ-সভার কী কারণ, জানি না।’’