ফাইল চিত্র
ধোঁয়া এবং আগুনের আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না মেট্রোযাত্রীদের। শনিবার ফের একটি এসি রেকের চাকা থেকে আগুনের ফুলকি ছিটকে আসায় এবং ধোঁয়া বেরোনোয় আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। পরে সেই রেকটিকে গীতাঞ্জলি স্টেশনে খালি করে মেরামতির জন্য কবি সুভাষের উদ্দেশে রওনা করানো হয়। ওই ঘটনায় কিছু ক্ষণ মেট্রো চলাচল ব্যাহত হয়।
মেট্রো সূত্রের খবর, বিকেল ৩টে ৫০ মিনিট নাগাদ দমদম থেকে আসা কবি সুভাষমুখী একটি এসি রেক নাকতলা সংলগ্ন গীতাঞ্জলি স্টেশনে পৌঁছতেই একটি কামরার চাকা থেকে পোড়া গন্ধ আর ধোঁয়া চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের অনেকে চাকা থেকে আগুনের ফুলকিও ছিটকে আসতে দেখেন বলে অভিযোগ।
মেট্রো সূত্রের খবর, যে কামরার চাকা থেকে ধোঁয়া আর ফুলকি বেরোতে দেখা গিয়েছিল, সেটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ফলে ওই ট্রেনে আর যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। স্টেশন কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে তড়িঘড়ি যাত্রীদের ট্রেন থেকে নেমে যেতে বলেন। দুপুরের দিকে হওয়ায় যাত্রী-সংখ্যা ছিল কম। পরে বিকেল চারটে নাগাদ সেই এসি রেকটিকে নিউ গড়িয়া সংলগ্ন কবি সুভাষ স্টেশনের কারশেডে পাঠানো হয়। এ দিন ওই রেকটিকে তার পরে আর চালানো হয়নি। বদলে অন্য একটি এসি রেক কবি সুভাষ থেকে চালানো হয়।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
গত ডিসেম্বরে ময়দান স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে গত আড়াই মাসে একাধিক বার মেট্রোর কামরার নীচ থেকে ধোঁয়া ও আগুনের ফুলকি বেরোনোর ঘটনা ঘটেছে। এ দিন ওই মেট্রোর এক যাত্রী বলেন, ‘‘উপায় নেই, তাই মেট্রোয় চড়ি। রোজ তো একই ধরনের সমস্যা ঘুরে-ফিরে আসে। অথচ, কোনও প্রতিকার চোখে পড়ে না। সমস্যা ছাড়া মেট্রো যাত্রার কথা যেন ভাবাই যায় না।’’ ট্রেনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার পরেও রক্ষণাবেক্ষণের হাল কেন ফিরছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মেট্রোযাত্রীদের একাংশ। এ প্রসঙ্গে মেট্রোর এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই রেকটির চাকায় ব্রেক আটকে গিয়েছিল। সেখান থেকেই ধোঁয়া ছড়ায়। যাত্রীদের কারও কোনও ক্ষতি হয়নি।’’