সোনারপুর উড়ালপুল। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল।
রাস্তার এক দিকে সার দিয়ে রাখা দুর্ঘটনায় দুমড়ে যাওয়া অ্যাম্বাসেডর, ভাঙা জিপ, টেম্পো, ট্রাক। রয়েছে ভাঙাচোরা ক্রেন থেকে বাতিল অ্যাম্বুল্যান্সও। অভিযোগ, এ ভাবেই রাস্তা দখল হয়ে থাকায় সংকীর্ণ হয়েছে সোনারপুর উড়ালপুলটি।
সোনারপুর স্টেশন রোড এবং হরিধন চক্রবর্তী সরণির মোড় থেকে শুরু হয়েছে সোনারপুর উড়ালপুল। এর পাশেই সোনারপুর থানা। উড়ালপুলটি মিশেছে সোনারপুর-ভাঙড় রোড এবং নবপল্লি-চম্পাহাটি রোডে।
সূত্রের খবর, উড়ালপুলটি তৈরি হয়েছে প্রায় ছ’বছর আগে। উড়ালপুলের এক প্রান্তে সোনারপুর থানা। দুর্ঘটনাস্থল থেকে তুলে আনা ভাঙাচোরা এবং থানার আটক করা গাড়িগুলির ঠাঁই হয়েছে উড়ালপুলের ধারে।
সেখানে গিয়ে দেখা গেল, সার দিয়ে রাখা অসংখ্য গাড়ি। দু’দিকের ফুটপাথের এক দিক ঘেঁষে দাঁড়ানো গাড়ির সারি সংকীর্ণ করে দিয়েছে উড়ালপুলকে। গাড়ির সারি পৌঁছে গিয়েছে উড়ালপুলের মাঝ বরাবর। সেখানে রাখা আছে মাটিবোঝাই গাড়ি।
এ উড়ালপুল দিয়ে প্রায়ই গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করেন গৌড় জানা। তিনি বলেন, ‘‘উড়ালপুলটি ‘ইউ’ আকৃতির। ফলে বাঁক ঘোরার সময়ে উল্টো দিক থেকে গাড়ি আসছে কিনা সেটা দেখতে সমস্যা হয় এমনিতেই। তার মধ্যে সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় উল্টো দিকের গাড়িকে উড়ালপুলের মাঝামাঝি ধরে চলতে হয়। সেটা না বুঝে গাড়ি চালালেই অঘটনের আশঙ্কা থাকে।’’ এ ভাবে বেশ কিছু দুর্ঘটনাও ঘটে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সোনারপুর পুরসভার পুরপ্রধান পল্লবকান্তি দাস বলেন, ‘‘এই নিয়ে বহু বার মৌখিক ভাবে অনুরোধ করেছি থানাকে। পূর্বতন আইসিকে লিখিত জানিয়েছিলাম। কখনও সরিয়ে দেওয়া হলেও ফের ওখানে গাড়ি ফেলে রাখা হয়। এর ফলে জায়গাটা দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠেছে।’’ সোনারপুর থানা সূত্রে খবর, মাঝে মধ্যে ওখান থেকে গাড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু তুলে আনা গাড়িগুলি অন্যত্র রাখার জায়গা নেই। নতুন কোনও জায়গার ব্যবস্থা হলে অবশ্যই গাড়িগুলি সরিয়ে নেওয়া হবে।