—প্রতীকী ছবি
সম্পত্তি নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত। তার জেরে মাঝেমধ্যেই বাবাকে মারধর করত ছেলে। এমন অভিযোগ নিয়ে প্রহৃতের মেয়েরা স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে যান। ছেলেকে ডেকে পাঠিয়ে সতর্কও করা হয়। এই ঘটনার এক মাস পরেই বাবাকে ছেলে ফের মারধর করে বলে অভিযোগ। বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে এনআরএস হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তির নাম বচন মণ্ডল (৬০)। যদিও বাবার মৃত্যুর আগের দিন বুধবারই সল্টলেকের নয়াপট্টি এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ছেলেকে। ধৃতের নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল (৩৫)।
এই ঘটনায় ধৃতের স্ত্রী চন্দনা মণ্ডলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশে। এ দিন আদালতে ধৃতের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারা যুক্ত করতে চেয়ে বিধাননগর পুলিশ আবেদন করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ৬ অক্টোবর বাবার সঙ্গে ছেলের অশান্তি হয়। তখনই বচনবাবুকে মারধর করে বিশ্বজিৎ। এর পরেই বৃদ্ধ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সময়ে বৃদ্ধের মেয়েরা ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় ভাই এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে বাবাকে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। তারই ভিত্তিতে বিশ্বজিৎকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মারধর করে গুরুতর জখম করা এবং ষড়যন্ত্রের মতো অভিযোগ আনা হয়েছে। ধৃত বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। বাড়িতে চারটি দোকান রয়েছে। এই বাড়ি ও দোকান নিয়েই বাবা-ছেলের বিবাদ।
স্থানীয় ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এক মাস আগে বচনবাবুর মেয়েরা বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে তাঁর কাছে অভিযোগ নিয়ে আসেন। সম্পত্তি সংক্রান্ত গোলমাল চলছিল তাঁদের মধ্যে। এ মাসের ৬ তারিখে তাঁরা ফের জানান, সদ্য পেসমেকার বসানো বাবাকে ভাই মারধর করায় তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।