সোনিকা আমার খুব কাছের বন্ধু ছিল, বললেন বিক্রম

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরের দিনই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। গাড়ি দুর্ঘটনা এবং মডেল সোনিকা সিংহ চৌহানের মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার আলিপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সৌগত রায়চৌধুরী এক হাজার টাকার বন্ডে আগামী ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিক্রমের জামিন মঞ্জুর করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৭ ০১:৫৭
Share:

মুখোমুখি: আদালতের সামনে। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরের দিনই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

গাড়ি দুর্ঘটনা এবং মডেল সোনিকা সিংহ চৌহানের মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার আলিপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সৌগত রায়চৌধুরী এক হাজার টাকার বন্ডে আগামী ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিক্রমের জামিন মঞ্জুর করেন। তদন্তে পুলিশকে বিক্রম যাতে সব রকমের সহযোগিতা করেন, সেই নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

গত ২৯ এপ্রিল ভোরে লেক মার্কেটের কাছে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ি চালাচ্ছিলেন বিক্রম নিজে। সোনিকা পাশের সিটে ছিলেন। দু’জনকে বাইপাসের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সোনিকাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বিক্রম ওই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন। সেই ঘটনায় পুলিশ বিক্রমের বিরুদ্ধে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো এবং গাফিলতির জেরে মৃত্যু ঘটনার মামলা রুজু করে। পরে সোনিকার পরিবারও বিক্রমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান বিক্রম। তার আগেই অবশ্য টালিগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে সাত দিনের মধ্যে তাঁকে থানায় হাজির হওয়ার জন্য নোটিস ধরিয়েছিল।

আরও পড়ুন:গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন এই অভিনেত্রী

শুক্রবার সকালেই আলিপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আর্জি জানান বিক্রম। তাঁর আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা জানান, বিক্রমের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা হয়েছে। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন। সরকারি কৌঁসুলি সৌরীন ঘোষাল জানান, সোনিকার ময়না-তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এখনও আসেনি। তবে একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ, দুর্ঘটনার রাতে বিক্রমের পোশাক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।

এ দিনই বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার একটি ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিক্রম জানান, গাড়ি চালানোর সময়ে তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন না। গাড়ির গতিও বেপরোয়া ছিল না। তবে সিট বেল্ট পরেছিলেন কি না, সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি তিনি। বিক্রমের কথায়, ‘‘আমি নিয়ম মেনে গাড়ি চালাচ্ছিলাম কি না, সেটা তদন্তেই প্রমাণিত হবে। কিন্তু যে ঘটনা ঘটেছে, তার দায় আমি এড়াতে চাই না।’’ বিক্রম জানান, শীঘ্রই তিনি পুলিশের কাছে যাবেন বয়ান দেওয়ার জন্য। তার পরে সোনিকার পরিবারের সঙ্গেও দেখা করবেন। তাঁর কথায়, ‘‘সোনিকা আমার খুব কাছের বন্ধু ছিল। এই ঘটনার কোনও ক্ষতিপূরণ হবে না। তবে আমি ওঁর পরিবারের পাশে থাকব। যতটা সম্ভব সাহায্য করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন