বইমেলা থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরুন বিশেষ বাসে

বইমেলার ক’দিন নাগরিক ভোগান্তি দূর করতে সক্রিয় হচ্ছেন উদ্যোক্তারা। মেলার দিনগুলো মিলনমেলা প্রাঙ্গণ থেকে পার্ক সার্কাস হয়ে শহরে ঢোকার রাস্তা সুগম করতে এ বার বিশেষ বাস পরিষেবা চালু করবেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৫ ১৮:৫১
Share:

বইমেলার ক’দিন নাগরিক ভোগান্তি দূর করতে সক্রিয় হচ্ছেন উদ্যোক্তারা। মেলার দিনগুলো মিলনমেলা প্রাঙ্গণ থেকে পার্ক সার্কাস হয়ে শহরে ঢোকার রাস্তা সুগম করতে এ বার বিশেষ বাস পরিষেবা চালু করবেন তাঁরা।

Advertisement

এমনিতে বইমেলার দিনগুলোয় মিলনমেলার মাঠে কাজের দিনে কম-বেশি লাখ দেড়েক থেকে সপ্তাহান্তে সাড়ে তিন লক্ষের বেশি লোকজন আনাগোনা করে। এর একটা বড় অংশ পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড় ধরে যাতায়াত করে। শুধু কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত নয়, হাও়ড়ার দিক থেকেও যাঁরা বইমেলায় যান, ওই রাস্তাই তাঁদের একমাত্র ভরসা। মিলনমেলা মাঠ থেকে ইএম বাইপাস ধরে দক্ষিণে রুবি হাসপাতাল বা উত্তরে উল্টোডাঙা যাওয়ার পথে তেমন সমস্যা হয় না। কিন্তু, পরমা আইল্যান্ড থেকে পার্ক সার্কাস যাওয়ার পথে বাসের অভাবে অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছতে ভুগতে বাধ্য হন। এই সমস্যার মুশকিল আসান করতেই বিশেষ বাস পথে নামাচ্ছে বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড।

গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সন্ধের দিকে বিশেষ করে সমস্যা প্রকট হয়। এটা মাথায় রেখেই বাসের সময় ঠিক করা হচ্ছে।’’ গিল্ড সূত্রের খবর, আপাতত ঠিক হয়েছে, বইমেলার দিনগুলো বিকেল চারটে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ঘুরে-ফিরে খান পাঁচেক বাস পার্ক সার্কাসে আসা-যাওয়া করবে।

Advertisement

আগামী বছরে ২৫ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা। মেলা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি থেকে। এ বছর মেলার দেশ-ভিত্তিক থিমে থাকছে বলিভিয়া। বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে চে গেভারা বলিভিয়ায় যান ১৯৬৬ সালে। আগামী বছর তারও ৫০ বছর পূর্তি। বলিভিয়ার জাতীয় প্রতীকের আদলেই বইমেলার ফোকাল থিম-এর প্রতীক তৈরি হয়েছে। এ দিন তার প্রতিকৃতি উন্মোচন করা হল। তবে শুধু বলিভিয়া নয়, অন্তত খান পঞ্চাশেক বিভিন্ন দেশের প্রকাশক থাকার কথা। গিল্ডের অধিকর্তা সুধাংশু দে জানিয়েছেন, এ ছাড়া, রাজ্যের ৬০০ জন প্রকাশক ও পড়শি বাংলাদেশের ২৭ জন প্রকাশক থাকছেন। আর প্রথম বার কলকাতা বইমেলায় থাকবে ভিন রাজ্য নাগাল্যান্ড, তামিলনাডু, তেলঙ্গানা, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র প্রমুখ রাজ্যের প্রকাশকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন