শিশুর মৃত্যুতে অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

স্কুলেই জলে ডুবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রিন্সিপাল-সহ তিন শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৫৬
Share:

সম্বুদ্ধ ঘোষ।—নিজস্ব চিত্র।

স্কুলেই জলে ডুবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রিন্সিপাল-সহ তিন শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল। পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মৃত শিশুর বাবা শুভজিৎ ঘোষ স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং ওই তিন শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আলিপুর থানায় গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। এ দিন ওই স্কুলের সামনে শিশুটির মৃত্যুর বিচার চেয়ে জড়ো হন বাবা-সহ কয়েক জন অভিভাবক।

Advertisement

বুধবার দুপুরে আলিপুরের কম্যান্ড হাসপাতাল চত্বরে থাকা একটি স্কুলের ভিতরে ‘হাইড্রোথেরাপি’ ঘরে জলে ডুবে মৃত্যু হয় সম্বুদ্ধ ঘোষ (৪) নামে ওই শিশুটির। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের ওই স্কুল চালায় সেনা অফিসারদের স্ত্রীদের একটি সংগঠন। শিক্ষিকাদের নজর এড়িয়ে সম্বুদ্ধ কী ভাবে জলে ডুবে গেল, ঘটনার পরে তা নিয়ে সরব হন অভিভাবকেরা। রাতেই শিশুটির দেহের ময়না-তদন্ত করা হয় এস এস কে এম হাসপাতালে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, জলে ডুবে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। কথা বলা হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও।

সেনা সূত্রের খবর, ওই স্কুলটি ১৯৯১ সাল থেকে চলছে। সেখানে একটি শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ওই দুর্ঘটনায় এফ আই আর হলে পুলিশ তার মতো তদন্ত করবে। তবে সেনাও নিজস্ব তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে শিশুটির বাবা জানিয়েছেন, ঘটনার পরে স্কুল থেকে ফোন করে তাঁকে কিছু বলা হয়নি। অন্য অভিভাবকদের থেকে জানতে পেরে হাসপাতালে যান তিনি। অভিযোগ, কী করে দুর্ঘটনা ঘটল, এ নিয়ে কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে চাননি। তাঁর দাবি, দুর্ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

এ দিন ওই স্কুলের দুই প্রতিনিধি সম্বুদ্ধের বাড়ি যান।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তের পরে স্কুলের কিছু গাফিলতি সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ভিতরে একাধিক সিসি ক্যামেরা থাকলেও তার বেশির ভাগই অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। স্কুলের কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ‘হাইড্রোথেরাপি’ ঘরটি বন্ধ থাকার কথা, কিন্তু দুর্ঘটনার দিন তা খোলা ছিল। সবাইকে না জানিয়ে কী ভাবে ওই ঘরের চাবি খোলা হল, তা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে কিছু বলতে পারেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন