কন্টেনার থেকে দস্তা চুরি করে সমান ওজনের বালি ভরে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে আগেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের জেরা করে এ বার গ্রেফতার হল আরও দু’জন। ধৃতদের নাম হাসমত আলি এবং মহম্মদ ইমরান খান। বাড়ি মেটিয়াবুরুজে। পুলিশ জেনেছে, কন্টেনার মালিক বাবলু খানের নির্দেশে হাসমতই সব ব্যবস্থা করেছিল। তাকে জেরা করে রবিবার দক্ষিণ বন্দরের একটি ঝুপড়ি এলাকা থেকে মিলেছে আরও সাড়ে তিন মেট্রিক টন দস্ত
পুলিশ জানায়, মধ্য কলকাতার এক বেসরকারি সংস্থা ইথিওপিয়ায় প্রায় ৫০ টন দস্তার বাট সরবরাহের দায়িত্ব পেয়েছিল। ওই সংস্থার তরফে শুল্ক দফতরের অনুমোদিত এক বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা আবার একটি পরিবহণ সংস্থাকে ওই দস্তার বাট রানিহাটির গুদাম থেকে নেতাজি সুভাষ ডকে পৌঁছনোর ভার দেয়।
তদন্তকারীরা জানান, ২৪ মে রওনা হয়ে একটি কন্টেনার পরদিন পৌঁছলেও অন্যটি পৌঁছয় ২৭ মে। ৩০ মে ওই কন্টেনার খুলে দেখা যায়, বালি ভর্তি। মধ্য কলকাতার সংস্থাটির মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ বাবলু খান, সইফ আহমেদ খান ও সুরিন্দর মাহাতো নামে তিন জনকে ধরে। মেলে ১০ টন দস্তা। তাদের জেরা করেই খোঁজ মেলে হাসমত ও ইমরানের।