PG Hospital

SSKM: শ্বাসনালি থেকে মাদুলি বার করে প্রাণরক্ষা শিশুর

বুধবার পিজিতে আসার পরেই ব্রঙ্কোস্কোপি করে সাড়ে তিন বছরের ইন্দ্রাণী রুদ্রের বাঁ দিকের ফুসফুসের শ্বাসনালি থেকে মাদুলিটি বার করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২২ ০৭:৩৯
Share:

ফাইল চিত্র।

‘রেফার’ করার রোগ বন্ধ করতে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বলা হয়েছে, রোগীকে অন্যত্র রেফার করলে সেখানে তাঁর চিকিৎসা পাওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকেই। সম্প্রতি জারি হওয়া সেই নির্দেশ মেনে ফুসফুসে মাদুলি আটকে থাকা একটি শিশুকে এসএসকেএমে রেফার করার পাশাপাশি সেখানকার চিকিৎসকদের ফোন করেও বিষয়টি জানান বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা। রোগীকে কী চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, চিঠি-সহ তা লিখে পাঠানো হয়।

Advertisement

বুধবার পিজিতে আসার পরেই ব্রঙ্কোস্কোপি করে সাড়ে তিন বছরের ইন্দ্রাণী রুদ্রের বাঁ দিকের ফুসফুসের শ্বাসনালি থেকে মাদুলিটি বার করা হয়। শিশুটি এখন সুস্থ রয়েছে। নিয়ম মেনে পিজির কান-নাক-গলা বিভাগ থেকে তা জানানো হয় বর্ধমানের ইএনটি চিকিৎসকদের। পিজিতে ইএনটি-র প্রবীণ চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘যে রোগীকে রেফার করা হচ্ছে, তাঁকে কী চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়েছে, সেটা যদি স্পষ্ট ভাবে জানা যায়, তা হলে অন্যত্রও কাজটা করতে অনেক সুবিধা হয়। ফোন ও কাগজপত্রের মাধ্যমে শিশুটির বিষয়ে জানতে পারায় আমাদেরও সময় নষ্ট হয়নি।’’

গত ১৭ এপ্রিল মাইথনের বাসিন্দা তপন রুদ্রের মেয়ে ইন্দ্রাণী গলায় ঝোলানো মাদুলিটি মুখে নিয়ে গিলে ফেলে। পায়খানার সঙ্গে সেটি বেরিয়ে যাবে ভেবে কয়েক দিন কাটালেও শিশুটির কাশি শুরু হয়। তপন

Advertisement

বলেন, ‘‘আসানসোলে এসে স্ক্যান করিয়ে দেখা যায়, মাদুলি শ্বাসনালিতে আটকে আছে। তখন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করি।’’ গত ৩ মে সেখানে টেলিস্কোপের মাধ্যমে ব্রঙ্কোস্কোপি করা হলেও মাদুলি বার করা সম্ভব হয়নি। তখনই ইন্দ্রাণীকে পিজি-র ইএনটি বিভাগে রেফার করা হয়। অরুণাভবাবুর পাশাপাশি চিকিৎসক অরিন্দম দাস, অঙ্কিত চৌধুরী এবং অ্যানাস্থেটিস্ট মেঘা চট্টোপাধ্যায়েরা মিলে সেই মাদুলি বার করেন।

অরুণাভবাবুর কথায়, ‘‘টেলিস্কোপ পদ্ধতিতে অনেক সময়ে ঠিকঠাক জায়গায় পৌঁছতে সমস্যা হয়। আমরা সাধারণ ব্রঙ্কোস্কোপির মাধ্যমেই ঠিক জায়গায় পৌঁছই। দেড় সেন্টিমিটার লম্বা মাদুলিটি বার করতেই শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement