Library Users

৯৩৩ ঘণ্টা গ্রন্থাগারে, সমাবর্তনে পুরস্কৃত ছাত্র 

শুভজিতের বক্তব্য, ‘‘যদি লাইব্রেরির পরিকাঠামো ভাল হয়, তা হলে প্রচুর মানুষ সেখানে পড়তে আসবেন। বই হাতে নিয়ে পড়ার একটা অন্য অনুভূতি আছে।’’ 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২০ ১০:০০
Share:

কলেজের সমাবর্তনে শুভজিৎ বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

কলেজে ক্লাস শেষ হয়ে যেত সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ। তার পরে ঘণ্টাখানেক বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করে সোজা কলেজের গ্রন্থাগারে ঢুকে যেতেন সেন্ট জেভিয়ার্সের বাণিজ্য শাখার স্নাতক স্তরের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শুভজিৎ বিশ্বাস। গ্রন্থাগার বন্ধ হত সন্ধ্যা ৭টায়। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সেখানে বসেই পড়াশোনা করতেন শুভজিৎ।

Advertisement

গ্রন্থাগারে সব থেকে বেশি সময় কাটানোর জন্য বৃহস্পতিবার সেন্ট জেভিয়ার্সের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ বছরের ‘সেন্ট্রাল লাইব্রেরি ইউজার্স’ পুরস্কার পেলেন শুভজিৎ।

২০১৯ সালে তিনি ৯৩৩ ঘণ্টা কাটিয়েছেন ওই গ্রন্থাগারে। এখনকার ডিজিটাল যুগে গ্রন্থাগারে যাওয়ার অভ্যাস ক্রমেই কমে যাচ্ছে। পাড়ায় পাড়ায় অনেক গ্রন্থাগারই সদস্যের অভাবে ধুঁকছে। পড়ার বই থেকে গল্পের বই বা দেশি-বিদেশি জার্নাল— অনেক কিছুই আজকাল অনলাইনে পড়ে নেওয়া যায়। তা হলে আর গ্রন্থাগারে যাওয়ার দরকার কোথায়?

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘সহানুভূতি দেখাতে ছবিটা দেখুন, চাই না!’

কালীঘাটের বাসিন্দা শুভজিতের মতে, অনলাইনের বদলে গ্রন্থাগারে বসে পড়াশোনা করলে অনেক বেশি মনোনিবেশ করা যায়। বি-কমের পাশাপাশি তিনি ‘কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিং’ও পড়ছেন। সেই কোর্সের পড়াশোনা করতেও গ্রন্থাগারের বই ব্যবহার করছেন শুভজিৎ। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের কলেজের লাইব্রেরিতে প্রচুর বই রয়েছে। বাড়ির থেকেও পড়াশোনায় বেশি মন বসে সেখানে।’’

শুভজিতের বক্তব্য, ‘‘যদি লাইব্রেরির পরিকাঠামো ভাল হয়, তা হলে প্রচুর মানুষ সেখানে পড়তে আসবেন। বই হাতে নিয়ে পড়ার একটা অন্য অনুভূতি আছে।’’

আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা বধূর দেহ উদ্ধার, ধৃত স্বামী-শাশুড়ি

শুভজিৎ জানাচ্ছেন, শুধু তিনিই নন, কলেজের আরও অনেক পড়ুয়াই এই লাইব্রেরিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়াশোনা করেন। কে কত সময় গ্রন্থাগারে কাটাচ্ছেন, অনলাইনে তার হিসেব রাখেন কর্তৃপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন