ছবি: সংগৃহীত
অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল চলছে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। বিদেশি অতিথিরা যাতে দূষণের শিকার না হন, তাই এ বার ওই স্টেডিয়ামের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে কালীপুজো ও দীপাবলিতে বাজি পোড়ানো নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায় রাজ্য পরিবেশ দফতর। ওই নির্দেশ কার্যকর করা বিধাননগর প্রশাসন সন্দিহান। আইন করে যেখানে শব্দবাজি ফাটানো বন্ধ করা যাচ্ছে না, সেখানে সব বাজি ফাটানোর উপরে নিয়ন্ত্রণ কী ভাবে আনা হবে, তা নিয়ে প্রশাসনের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে।
তবে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বলেছেন, এ বার উৎসবের মরসুম শুরু হওয়ার মাস খানেক আগে থেকেই তাঁরা এই নিয়ে বিধাননগর ও তার আশপাশে প্রচার শুরু করেছেন। বিধাননগর কমিশনারেট, পুরসভা ও রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরকে পর্ষদের পক্ষ থেকে লাগাতার অনূর্ধ্ব-১৭ যুব বিশ্বকাপ ফুটবলের কথা জানিয়ে বাজি পোড়ানো-সহ সমস্ত কাজ যা বাতাস বিষিয়ে তোলে সেগুলি থেকে বিরত থাকতে আবেদন করা হয়েছে ।
কল্যাণবাবু বলেন, ‘‘এলাকার স্কুলে স্কুলে গিয়ে প্রচার করেছি। রোজ প্রার্থনার সময়ে পাঁচ মিনিটের একটি শপথ নেওয়ার কথাও পড়ুয়াদের বলা হয়েছে। তার মধ্যে বাজি না পোড়ানোর শপথও আছে।’’
সল্টলেক স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনাল ২৮ অক্টোবর। তবে কালীপুজোর পরে পরেই ২২ তারিখের খেলা নিয়ে রাজ্য সরকারের চিন্তা বেশি। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘গোটা দেশে সব রকম বাজি নিষিদ্ধ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে যে আবেদন করছি, তাতে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে বিশেষ কারণ হিসেবে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবলের কথা উল্লেখ থাকছে।’’