Education Department

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি পুনর্গঠনের অর্ডিন্যান্সে সায়

ফিরিয়ে আনা হবে ইউজিসি-র প্রতিনিধিকে। সঙ্গে থাকবেন রাজ্যপালের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট বা কোর্টের প্রতিনিধি, উচ্চশিক্ষা সংসদের প্রতিনিধি ও রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:৪৮
Share:

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ফাইল ছবি।

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ বা সন্ধান কমিটির পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) তৈরি করার জন্য সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন মিলেছে। এ দিকে, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মধ্যেই এ দিন পাঁচ শিক্ষাবিদকে রাজভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যের শিক্ষা বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে তিনি আলোচনা করেছেন বলে খবর।

Advertisement

আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, উপাচার্য বাছাইয়ের সন্ধান কমিটিতে তিন জনের বদলে থাকবেন পাঁচ জন সদস্য। ফিরিয়ে আনা হবে ইউজিসি-র প্রতিনিধিকে। সঙ্গে থাকবেন রাজ্যপালের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট বা কোর্টের প্রতিনিধি, উচ্চশিক্ষা সংসদের প্রতিনিধি ও রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি। সেই মতো এ দিন বিষয়টি অর্ডিন্যান্স করার জন্য মন্ত্রিসভায় পাশ হয়েছে।

সম্প্রতি নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে সেখানকার সব চেয়ে সিনিয়র শিক্ষক চন্দন বসুকে দায়িত্বভার দেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ একক ভাবে নিয়েছেন রাজ্যপাল। বিষয়টি নিয়ে তিনি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা করেননি। এর পাশাপাশি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের সাম্প্রতিক পরিদর্শন নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সূত্রের খবর, নবান্নও বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখছে না। নিয়ম অনুযায়ী, উপাচার্য পদে থাকতে গেলে প্রফেসর হিসাবে যে ১০ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকা দরকার, চন্দন বসুর তা নেই। এমন আবহে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে সিনিয়র শিক্ষকদের তালিকাও রাজ্যপাল চেয়ে পাঠিয়েছেন।

Advertisement

এরই মধ্যে এ দিন রাজ্যপালের আমন্ত্রণে রাজভবনে যান রাজ্যের পাঁচ শিক্ষাবিদ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য শুভশঙ্কর সরকার এবং ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য কাজল দে। অস্থায়ী উপাচার্যের পদে আসার আগে কাজল ছিলেন নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়েরই সব চেয়ে সিনিয়র শিক্ষিকা। এ ছাড়া, রাজ্যপালের আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন শিক্ষাবিদ শিবরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস প্রফেসর সুকান্ত চৌধুরী এবং শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী।

এ দিকে, রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ম্যাকাউট) এবং দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ কয়েক সপ্তাহ ধরে খালি। শীঘ্র খালি হতে চলেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-পদও। কয়েক সপ্তাহ আগে উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে ম্যাকাউট এবং দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী অস্থায়ী উপাচার্যের নামের প্রস্তাব রাজভবনে পাঠানো হয়েছে। নেতাজি সুভাষের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল একক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে অন্য দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তিনি এখন কী করবেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই বা কী হবে— সে সবই এখন বড় প্রশ্ন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন