ভার মেয়রকে

মেট্রোর পথ মসৃণ করতে তৎপর রাজ্য

জমি কিংবা অন্য যে জটই থাকুক না কেন, তা কাটিয়ে দ্রুত শেষ করতে হবে মেট্রো প্রকল্পগুলির কাজ। মেট্রোর কাজে আর কোনও ঢিলেমি চায় না রাজ্য সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৩২
Share:

জমি কিংবা অন্য যে জটই থাকুক না কেন, তা কাটিয়ে দ্রুত শেষ করতে হবে মেট্রো প্রকল্পগুলির কাজ। মেট্রোর কাজে আর কোনও ঢিলেমি চায় না রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে জট কাটানোর দায়িত্ব পেয়েছেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের আবাসন ও দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বাজেট প্রস্তাবে ইতিমধ্যেই এ রাজ্যের নতুন মেট্রো প্রকল্পগুলির জন্য প্রায় ৭০% বাড়তি বরাদ্দ হয়েছে।

Advertisement

কত দ্রুত জট কাটিয়ে মেট্রো প্রকল্পগুলির কাজে গতি আনা যায়, তা পর্যালোচনা করতে এ দিন নবান্নে মেট্রো রেল এবং রাজ্য প্রশাসনের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন মেয়র এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব মলয় দে, পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেলওয়ে বিকাশ নিগম ও মেট্রো রেলের পদস্থ কর্তারাও। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে ওই বৈঠকেই মেয়র কলকাতার বিভিন্ন মেট্রো প্রকল্পে কী কী জট রয়েছে, তা নিয়ে মেট্রোকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর, নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর এবং জোকা-বিবাদী বাগ প্রকল্পে জমিজটের সর্বশেষ অবস্থার কথা মেয়রকে জানান মেট্রোকর্তারা।

জট কাটানোর কাজও এ দিনই শুরু করে দিয়েছেন মেয়র। এ দিন বৈঠকের পরেই নবান্ন থেকে ই এম বাইপাসের ভিআইপি বাজারে যান তিনি। কথা বলেন মেট্রোপথ দখল করে থাকা ১০৮ জন দোকানদারের সঙ্গে। পরে মেয়র বলেন, ‘‘দোকানদারদের যেখানে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হয়েছে, সেখানেই ওঁদের উঠে যেতে বলেছি। সেখানকার জল ও আলোর ব্যবস্থা দু’এক দিনের মধ্যেই করে দেবে কলকাতা পুরসভা। এ ছাড়া, ওখানকার একটি পার্কে থাকা মোবাইল টাওয়ার নিয়েও সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। সেটিও বিকল্প জায়গায় সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

দ্রুত মেট্রো প্রকল্পের জট কাটাতে তিনি বদ্ধপরিকর জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বপ্নের মেট্রো প্রকল্প আমাদের করতেই হবে। আলোচনার টেবিলে বসে সব জট কাটিয়ে দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্প শেষ করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন