দরজা ভেঙে পাঁচ বাড়িতে পরপর চুরি

ভোরে প্রতিবেশীদের চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে উঠে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন গৃহকর্তা। বেরিয়ে আসতে গিয়ে দেখেন, দরজা বাইরে থেকে বন্ধ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৬ ০০:১২
Share:

ভোরে প্রতিবেশীদের চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে উঠে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন গৃহকর্তা। বেরিয়ে আসতে গিয়ে দেখেন, দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। পড়শিরা তা খুলে দিতে বাইরে এসে দেখেন, পাশের ঘরের আলমারি খুলে জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড করে বাসনপত্র, জামা-কাপড় নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরেরা। জানা গেল, আশপাশের আরও চারটি বাড়িতে একই রকম ভাবে চুরি হয়েছে। আর সব ক্ষেত্রেই চোরের দল নিয়ে গিয়েছে জামা, প্যান্ট-সহ কিছু জিনিস।

Advertisement

সোমবার রাতে এমন ভাবেই চোরের দল দাপিয়ে বেড়াল বালির নিশ্চিন্দা থানার উত্তর জয়পুর বিল পালপাড়ার কালীতলা এলাকা। আর ঘটনার পরে স্থানীয়েরা প্রশ্ন তুলেছেন এলাকায় পুলিশি টহলদারি নিয়ে। তদন্তকারীদের অনুমান, চোরেরা বাইরে থেকে আসেনি। কারণ এলাকাটি প্রত্যন্ত। তবু রাস্তাঘাট সম্পর্কে ভাল ধারণা রয়েছে চোরেদের। এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘তল্লাশি শুরু হয়েছে। কিছু সূত্রও মিলেছে।’’

পুলিশ জানায়, গৃহকর্তা প্রসেনজিৎ দাসের বাড়ি কালীতলা এলাকায়। মঙ্গলবার ঘুম থেকে উঠে দেখেন তিনি ও তাঁর মাসি-মেসো যে ঘরে ছিলেন, তার দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। প্রতিবেশীরা দরজা খুললে তাঁরা দেখেন, বাড়িতে ঢোকার মূল দরজার তালা ভাঙা। তাঁদের পাশের ঘরে ঢুকে দু’টি আলমারি ভেঙে জামা-কাপড়, বাসন নিয়ে গিয়েছে চোরেরা। প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে চোরেরা কিছু স্প্রে করে দিয়েছিল।’’

Advertisement

সামান্য দূরেই সন্তোষ হেলার বাড়ি। অভিযোগ, সোমবার সেখানেও হানা দেয় চোরের দল। গ্রিল ভেঙে আলমারি থেকে মোবাইল, টাকা, জামাকাপড় ও ব্যাঙ্কের কাগজ নিয়ে চম্পট দেয় তারা।

প্রসেনজিতদের প্রতিবেশী দীনেশ ঘোষ পুলিশকে জানান, ওই রাতে বাড়ির কাছেই কলে স্নান করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই ফাঁকেই বাড়ির তালা ভেঙে ঢুকে চোরেরা প্যান্ট, মানিব্যাগ নিয়ে পালায়। একই ভাবে আরও একটি বাড়িতেও টাকা-গয়না চুরি হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার প্রসেনজিৎ প্রথম নিশ্চিন্দা থানায় সব জানান। পুলিশের মতে, ছিঁচকে চোরের দলই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement