বিষ্ণুপুরে অমিল আর্সেনিকমুক্ত জল

এলাকার জনসংখ্যা ১৭ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু ডোঙারিয়ার আর্সেনিক মুক্ত জলপ্রকল্পের আধুনিকীকরণ হয়নি। অভিযোগ, বেড়েছে অবৈধ সংযোগ। ফলে বৈধ সংযোগ থাকলেও এই প্রকল্পের জল পাচ্ছেন না দক্ষিণ শহরতলির বিষ্ণপুর এলাকার দু’টি ব্লকের বাসিন্দারা।

Advertisement

জয়তী রাহা

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৫৯
Share:

এলাকার জনসংখ্যা ১৭ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু ডোঙারিয়ার আর্সেনিক মুক্ত জলপ্রকল্পের আধুনিকীকরণ হয়নি। অভিযোগ, বেড়েছে অবৈধ সংযোগ। ফলে বৈধ সংযোগ থাকলেও এই প্রকল্পের জল পাচ্ছেন না দক্ষিণ শহরতলির বিষ্ণপুর এলাকার দু’টি ব্লকের বাসিন্দারা। এলাকা আর্সেনিক প্রবণ হওয়ায় কোনও গভীর নলকূপও নেই। অগত্যা জল কেনা ছাড়া গতি নেই বাসিন্দাদের। অভিযোগ, জেলা প্রশাসনে আবেদন করেও লাভ হয়নি।

Advertisement

প্রকল্পটির দেখাশোনা ও জল সরবরাহ করে রাজ্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর (পিএইচই)। এই প্রকল্প থেকে জল অমিল বজবজ, মগরাহাট, জয়নগর, ভাঙড়, বারুইপুর প্রভৃতি ব্লক এলাকা, বারুইপুর পুরসভা ও রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার কিছু অংশেও। দাবি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের।

জেলা পরিষদের এক আধিকারিক জানান, আর্সেনিক প্রবণ এলাকা হওয়ায় ৩২৭ কোটি টাকা খরচ করে কেন্দ্র ডোঙারিয়ায় আর্সেনিক মুক্ত জলের প্রকল্পটি করেছিল। বিষ্ণুপুর-১ এবং ২, বজবজ-২, মগরাহাট-১, জয়নগর-১, ভাঙড়-২, বারুইপুর ব্লক, বারুইপুর পুরসভা এবং রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার কিছু অংশে সেই জল সরবরাহ শুরু হয় ২০০০ সালে। এই প্রকল্পে ৬৩টি ট্যাঙ্ক, সাতটি ভূগর্ভস্থ জলাধার রয়েছে। যার মধ্যে বিষ্ণুপুর-১ এবং ২ ব্লকে রয়েছে দশটি ট্যাঙ্ক।

Advertisement

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ট্যাঙ্কের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দারাই শুধু প্রকল্পের জল পান। এর কারণ কী? স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, বিষ্ণুপুরের দু’টি ব্লকের জনসংখ্যা তিন লক্ষ থেকে বেড়ে ছয় লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। পরিকাঠামোর অভাব দেখিয়ে নতুন সংযোগ
দেওয়া বন্ধ হয়েছে ২০০৮-এ। তার পর থেকে বেড়েছে অবৈধ সংযোগ।
ফলে বৈধ সংযোগ থাকা সত্ত্বেও জল পাচ্ছেন না বাসিন্দারা।

বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বিষ্ণুপুর ব্লকের অধিকাংশ মানুষ জল কেনেন। কিন্তু স্থানীয় সূত্রের খবর, আমতলা, বিষ্ণুপুর প্রভৃতি এলাকায় অনুমোদন ছাড়াই জারে করে গভীর নলকূপের জলই বিক্রি হয়। বাকিরা দূরের
কোনও নলকূপ থেকে সাইকেলে বা হেঁটে জল নিয়ে আসেন।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জল সরবরাহ বিভাগ (ডিভিশন ওয়ান)-এর এগ্‌জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার তরুণকান্তি দাস বলেন, ‘‘ডোঙারিয়ার ওই প্রকল্পের সমস্যার কথা জানি। তিন মাস আগে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। তার পর মূল কাজ শুরু হবে। মূলত দুর্বল পাম্পগুলিকে শক্তিশালী করা হবে। প্রয়োজনে নতুন পাম্প বসানো এবং জলাধার তৈরি করা হবে। যেখানে বড় ডায়ামিটারের পাইপ না বসালে জল পৌঁছবে না, সেখানে তাই করা হবে।’’

জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের সচিব সৌরভকুমার দাস বলেন, ‘‘বিষয়গুলি জানি। সবিস্তারে খোঁজ নিয়ে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন