স্বামী মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন, এ কথা ফোনে জানতে পেরে মঙ্গলবারই কলকাতায় আসার পরিকল্পনা করেছিলেন সাবিস কুন্নুতের স্ত্রী। কিন্তু, তার আগেই সোমবার চাঁদনি চকের একটি গেস্ট হাউস থেকে কেরলের ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, সিবিআইয়ের একটি মামলায় অভিযুক্ত সাবিস। তাঁকে জেরার করার জন্যই কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। গত শনিবার সাবিস কলকাতায় আসেন। স্ত্রী ইন্দু প্রভাকরণকে সোমবার সকালে সাবিস জানান, সিবিআই জেরায় তিনি ভেঙে পড়েছেন। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন ইন্দুর ভাই জিতু পি। মঙ্গলবার রাতেই সাবিসের দেহ নিয়ে জিতু কেরল রওনা হয়ে যান।
সাবিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সিবিআইয়ের জালে ফেঁসে যাওয়া এই রাজ্যের একটি বিমা সংস্থার কয়েক জন অভিযুক্তকে মামলা থেকে বাঁচিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি মোটা টাকা নিয়েছিলেন। সাবিসকে জেরা করতে কলকাতায় ডেকে পাঠায় সিবিআই। সূত্রের খবর, ৭ মে এসে সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে দেখা করে সে দিনই শহর ছেড়ে চলে যান সাবিস। ১৪ মে শনিবার, আবার আসেন সিবিআই দফতরে। এর পরে সোমবার ফের সিবিআই অফিসে তার হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। অথচ জিতু জানিয়েছেন, ৫ মে কেরল থেকে রওনা হওয়ার পরে আর বাড়ি ফেরেননি সাবিস।
যে গেস্ট হাউস থেকে সাবিসের দেহ উদ্ধার হয়, তাঁরা জানান, সাবিস হোটেল টানা ছিলেন না। তা হলে ৫ তারিখ রওনা হওয়ার পরে মাঝে তিনি কোথায় ছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন এখন তদন্তকারীরা। জিতু জানান, সাবিস ইন্দুকে বলেছিলেন, কেউ তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘জামাইবাবু নির্মাণ ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন বলে জানি। তবে ঠিক ব্যবসাটা কী, আমরা জানতাম না। ব্যবসার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনাও করতেন না।’’