বাংলাদেশ থেকে চোরাই সোনা কলকাতায়

বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে বিদেশি সোনা ঢুকেছিল এ রাজ্যের নদিয়ায়। সেখান থেকে ঢুকে পড়েছিল মহানগরেও। কিন্তু শেষমেশ গন্তব্যে পৌঁছল না তা। শনিবার বিকেলে মহাত্মা গাঁধী রো়ড মেট্রো স্টেশনে হানা দিয়ে প্রায় ১৬ কিলোগ্রাম চোরাই সোনা বাজেয়াপ্ত করল ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৭ ০০:১১
Share:

বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে বিদেশি সোনা ঢুকেছিল এ রাজ্যের নদিয়ায়। সেখান থেকে ঢুকে পড়েছিল মহানগরেও। কিন্তু শেষমেশ গন্তব্যে পৌঁছল না তা। শনিবার বিকেলে মহাত্মা গাঁধী রো়ড মেট্রো স্টেশনে হানা দিয়ে প্রায় ১৬ কিলোগ্রাম চোরাই সোনা বাজেয়াপ্ত করল ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। পাচারের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

Advertisement

ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম অসিত রায় এবং শঙ্কর সরকার। বাড়ি নদিয়ার রানাঘাটে। বাজেয়াপ্ত সোনার বাজারদর প্রায় ৪ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা। রবিবার ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ৩ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতদের যাতে জেলে গিয়ে জেরা করা যায় সে ব্যাপারে ডিআরআই-এর আইনজীবী তাপস বসু আদালতের কাছে আর্জি জানান।

ডিআরআই সূত্রে খবর, অসিত এবং শঙ্কর পেটে গামছা বেঁধে তার ভিতরে সোনার বিস্কুট নিয়ে এসেছিল। দু’জনের কাছ থেকে ১৪০টি সোনার বিস্কুট মিলেছে। সব ক’টিতেই বিদেশের ছাপ রয়েছে। ধৃতদের জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, নদিয়ার বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ওই সোনা তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। তার পরে সেখান থেকে ট্রেনে চেপে দমদম ও মেট্রোয় চেপে মহাত্মা গাঁধী রোড স্টেশনে পৌঁছয় তাঁরা। ওই এলাকাতেই এক জনের হাতে চোরাই সোনা তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই ব্যক্তির নাম বা ঠিকানা ধৃতেরা জানেন না।

Advertisement

তদন্তকারীদের কাছে ধৃতদের দাবি, একটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। মহাত্মা গাঁধী রো়ডে পৌঁছে সেই ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছিল। তা হলে সেই ফোন নম্বরের সূত্র ধরে শহরে বসে থাকা সোনা পাচার চক্রের চাঁইকে ধরা হচ্ছে না কেন?

গোয়েন্দাদের দাবি, অতীতেও বিভিন্ন পাচারকারীর কাছ থেকে এমন ফোন নম্বর মিলেছে। সেই সূত্র ধরে এগোতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, মোবাইল পরিষেবাপ্রদানকারী সংস্থার কাছে থাকা সিমের মালিকের সঙ্গে সোনা পাচারের কোনও যোগ সূত্র নেই। অর্থাৎ পাচারকারীরা বিভিন্ন লোকের নাম-পরিচয় ভাঁড়িয়ে ভুয়ো নথি দিয়ে এই সিমকার্ডগুলি কেনে। এই সূত্র ধরে ধরপাক়়ড় করতে গেলে নিরীহ নাগরিকেরাই হেনস্থার শিকার হন বলে তদন্তকারীদের দাবি। বস্তুত, ১৪ এপ্রিল শিয়ালদহের একটি হোটেলে হানা দিয়েও চোরাই সোনা বাজেয়াপ্ত করেছিল ডিআরআই। ডালা এবং সাইলো নামে মিজোরামের দুই বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন