শহর লাগোয়া অটোকে শৃঙ্খলায় বাঁধার ভাবনা

কলকাতা সংলগ্ন এলাকার অটোকেও এ বার নির্দিষ্ট রুট ও পারমিটে বাঁধতে চায় সরকার। নতুন অটো নীতিতে সেই কাজই করা শুরু করলেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা।

Advertisement

অত্রি মিত্র

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৩৭
Share:

কলকাতা সংলগ্ন এলাকার অটোকেও এ বার নির্দিষ্ট রুট ও পারমিটে বাঁধতে চায় সরকার। নতুন অটো নীতিতে সেই কাজই করা শুরু করলেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা।

Advertisement

সাবেক কলকাতা পুরসভা এলাকায় যত অটো রুট আছে, সব ক’টিই বাম আমলে তৈরি। ওই সব রুট তৈরি হয়েছিল রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে রুটের বিস্তারিত যাত্রাপথ নির্দিষ্ট করার পাশাপাশি সর্বাধিক কত অটো চলতে পারবে, তা-ও বলা রয়েছে। এমন ১২৫টি রুট নির্দিষ্ট করা আছে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে।

কিন্তু কলকাতার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে না আছে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তৈরি করা অটো রুট, না আছে ওই সব রুটে সর্বাধিক কত গাড়ি চলবে, তার সংখ্যা। পরিবহণ দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, এর মধ্যে কলকাতা পুরসভার সংযোজিত এলাকা অর্থাৎ ১০১-১৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের অটো রুটগুলি আছে আলিপুরে পরিবহণ দফতরের আঞ্চলিক অফিসের হাতে। পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই সব এলাকার অটো রুটগুলিতে নির্দিষ্ট সংখ্যা বেঁধে দেওয়া নেই। রুট তৈরিতেও অনেক খামতি রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে একটি রুটের মধ্যে অন্য রুটের অটো ঢুকে পড়ে। নির্দিষ্ট শৃঙ্খলা নেই। কোথায়, কত অটো চলে— হিসেব নেই তারও।’’

Advertisement

সে কারণেই এ বার কলকাতা পুরসভার ১০১-১৪৪ নম্বর পর্যন্ত ওয়ার্ডের অটো ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজতে চাইছে পরিবহণ দফতর। শুধু কলকাতা সংলগ্ন এলাকাই নয়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী তিন পুলিশ কমিশনারেট— ব্যারাকপুর, বিধাননগর এবং হাওড়ার অটো ব্যবস্থাকেও আমূল পাল্টাতে উদ্যোগী হয়েছে তারা। তবে ওই তিনটি কমিশনারেটের অটোর তালিকা তৈরি করাই এখন পরিবহণ দফতরের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই তিন কমিশনারেটকে তাদের রুট এবং অটো-তালিকা তৈরি করে জমা দিতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি পরিবহণ-কর্তারা বলছেন, ‘‘বাম আমলে যখন অটোর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল, তখন কলকাতার কাছের এলাকায় জনবসতি যা ছিল, এখন তার চেয়ে অনেক বেড়ে গিয়েছে। বহু ক্ষেত্রে অতীতে অটো রুটের প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু এখন সে সব জায়গার জনবসতি বেড়ে যাওয়ায় অটো পরিষেবা চালু করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। এ সব নিয়ে কলকাতা পার্শ্ববর্তী এলাকার রিপোর্ট তৈরি করে পরিবহণ দফতরে জমা দিতে বলা হয়েছে। তার পরেই নতুন রুট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন