Bhowanipore

সহপাঠীদের ‘যৌন হেনস্থা’, বহিষ্কৃত স্কুলছাত্র

অভিভাবকদের বক্তব্য, তাঁরা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ক্ষমা চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও সিদ্ধান্ত বদলায়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৯ ০৩:২৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

সপ্তম শ্রেণির তিন ছাত্রকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে ওই শ্রেণিরই এক ছাত্রকে বহিষ্কার করল ভবানীপুরের একটি স্কুল। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজে ‘হেনস্থা’র দৃশ্য দেখার পরে ওই ছাত্রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্কুলের এই সিদ্ধান্তে ভেঙে পড়েছেন বহিষ্কৃতের অভিভাবকেরা। তাঁরা জানান, ঘটনায় ওই কিশোর অবসাদে ভুগছে।

Advertisement

অভিভাবকদের বক্তব্য, তাঁরা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ক্ষমা চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও সিদ্ধান্ত বদলায়নি। ওই ছাত্রের বাবা বলেন, ‘‘সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছি। ছেলেরা ক্লাসে নিজেদের মধ্যে খেলছিল। ও তখন তিনটি ছেলের পিছনে হাত দিয়েছে। ছেলের এই আচরণের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। ওকে বাড়িতে বকাবকিও করেছি। কিন্তু স্কুল বহিষ্কার করবে ভাবিনি। ওকে লঘু পাপে গুরু দণ্ড দেওয়া হল।’’ যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত একা নিইনি। অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতেই স্কুল কর্তৃপক্ষের সকলে মিলে তা নিয়েছেন।’’

মনোবিদদের একাংশের মতে, লঘু পাপে গুরু দণ্ডই দেওয়া হয়েছে ওই ছাত্রকে। মনোবিদ নীলাঞ্জনা সান্যাল মনে করেন, ‘‘বয়ঃসন্ধিকালে মনের মধ্যে নানা কৌতূহল থাকে। এই ছাত্রটি এখন বয়ঃসন্ধিতে রয়েছে। সেই কৌতূহল থেকেই এমন করে থাকতে পারে। বড়দের কোনও অন্তরঙ্গ মুহূর্তে এমন আচরণ দেখে ছেলেটি কৌতূহলবশত তা বন্ধুদের উপরে প্রয়োগ করে থাকতে পারে। ওকে বহিষ্কার করে

Advertisement

এই সমস্যার সমাধান হবে না। বরং বুঝিয়ে বলা দরকার।’’ মনোরোগ চিকিৎসক জয়রঞ্জন রাম বলছেন, ‘‘যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, শুধু সেই কারণেই বহিষ্কার করা হয়ে থাকলে তা অবশ্যই লঘু পাপে গুরু দণ্ড। কিন্তু মনে হয়, শুধু ওই কারণে ওকে বহিষ্কার করা হয়নি। স্কুলে ছেলেটির বিরুদ্ধে আগেও হয়তো এই ধরনের অভিযোগ উঠেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন