মৃত ছাত্রী সুকন্যা পোদ্দার।—নিজস্ব চিত্র।
নিজের ঘরে আয়নার সামনে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল এক ছাত্রীর দেহ। মুখে কাপড় বাঁধা অবস্থায়। ঘটনাটি ঘটেছে বাঘাযতীন এলাকায়। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের সন্দেহ, আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্রী। কারণ একটি নোট পাওয়া গিয়েছে ঘরে।
মৃত ছাত্রী সুকন্যা পোদ্দার মাইক্রো বায়োলজিতে স্নাতকোত্তর। এর পর ইলেট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন ওই ছাত্রী। রবিবার সকালে অন্যদিনের মতই ঘুম থেকে উঠে সবার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁর পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানিয়েছেন, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ নিজের ঘরে যান সুকন্যা। প্রথমে কেউ কিছু সন্দেহ করেননি। কিন্তু তার পর দীর্ঘক্ষণ সুকন্যা ঘরের দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। তাঁরা বার বার দরজায় ধাক্কা দিলেও কোনও সাড়া না পেয়ে শেষে প্রতিবেশীদের খবর দেন। এর পর প্রতিবেশী এবং পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন।
দরজা ভেঙে দেখা যায় সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সুকন্যার দেহ। পুলিশ এসে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, “সুকন্যার মুখ একটি চাদর দিয়ে ঢাকা ছিল। দেহটা ঠিক আয়নার সামনে আমরা ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করি।”
আরও পড়ুন: বিজেপির বিরুদ্ধে জোর প্রচারে নামছে সপা-বসপা জোট, এক সঙ্গে ২০টি সমাবেশ ১৮ ডিভিশনে
আরও পড়ুন: আর যেন ‘বন্ধু দেশে’র মর্যাদা না পায় পাকিস্তান, বিল পেশ মার্কিন কংগ্রেসে
প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সুকন্যার বিয়ে নিয়ে কথাবার্তা চলছিল। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুকন্যার পছন্দের পাত্রের সঙ্গেই বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কয়েক দিন বাদেই বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। বিয়ে নিয়ে কোনও অমত ছিল না সুকন্যার। তার পর কেন সে আত্মঘাতী হল তা নিয়ে অন্ধকারে পরিবারের সদস্যরাও। সুকন্যার বাবা ব্যাবসায়ী। তিনি এই মুহূর্তে অসমে আছেন, পুলিশ তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে।
তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছেন। কিন্তু ওই সংক্ষিপ্ত সুইসাইড নোটথেকে কোনও কারণ খুঁজে পাননি তদন্তকারীরা। তাঁরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি সুকন্যার মোবাইলের তথ্যও দেখছেন। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন,“মোবাইল থেকে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। বিশেষত কার কার সঙ্গে সম্প্রতি সুকন্যার যোগাযোগ হয়েছিল? কী কথাবার্তা হয়েছিল, ইত্যাদি।”