চলছে রং খেলা। মঙ্গলবার, ডেন্টাল হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র
হাসপাতাল তো কী হয়েছে! পড়াশানার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীরা একটু মনোরঞ্জন করবেন না, তা কি হয়? তাই মাইক বাজিয়েই বসন্ত উৎসবে মাতলেন আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালের পড়ুয়ারা।
মঙ্গলবার ডেন্টাল কলেজের পুরনো ক্যাম্পাসে ঢুকতেই দেখা গেল, নোটিস বোর্ডে বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজিতে বসন্ত উৎসবের আয়োজন সম্পর্কিত বার্তা। আয়োজক তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) পরিচালিত ছাত্র সংসদ। ঘড়ির কাঁটা দুপুর আড়াইটে গড়াতেই শুরু হল উৎসব। ভিড় জমালেন পড়ুয়ারা। রঙবেরঙের আবির দিয়ে মুখ রাঙালেন। সঙ্গে চলল মাইক। তাতে কখনও বাজল ‘বসন্ত এসে গেছে...’, কখনও ‘খেলব হোলি রং দেব না, তাই কখনও হয়...’। গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কোমর দোলালেন পড়ুয়ারা। যে পড়ুয়ারা দর্শক, তাঁরা ওই দৃশ্য মোবাইল-বন্দি করলেন। কলেজ লনে চিকিৎসক-পড়ুয়াদের বসন্ত উৎসবের এই দৃশ্য হাসপাতালের দোতলা-তিনতলা থেকে উঁকি মেরে দেখলেন রোগী এবং তাঁদের পরিজনেরা।
কিন্তু একটি হাসপাতালের মধ্যে মাইক বাজিয়ে এমন উৎসব কি করা যায়? সেই সংক্রান্ত অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি? সদুত্তর পাওয়া যায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। জবাব এড়িয়েছেন আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্তারা। তবে হাসপাতালের সুপার রাহুল সামন্তের বক্তব্য, ‘‘আমি হাসপাতালে থাকাকালীন এমন কিছু কানে আসেনি।’’
যদিও বিষয়টির মধ্যে ‘অন্যায়’ কিছু দেখছেন না টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক কুণালকান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘আমরা রোগী পরিষেবা ব্যাহত করে কিছু করিনি। যাঁরা রং খেলেছি, তাঁরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করে এসেই উৎসবে সামিল হয়েছিলাম।’’ ছাত্র সংসদের দাবি, ২টো নাগাদ বহির্বিভাগ শেষ হওয়ার পরে তাঁরা উৎসবে মেতেছিলেন। যদিও আড়াইটের পরেও বহির্বিভাগে রোগীদের ভিড় চোখে পড়েছে।