ছবি: সংগৃহীত।
কলেজের গ্রন্থাগার ব্যবহারে পড়ুয়াদের উৎসাহ দিতে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কর্তৃপক্ষ পুরস্কার চালু করলেন। আসন্ন সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ সময় গ্রন্থাগার ব্যবহারের জন্য পুরস্কৃত করা হবে তিন পড়ুয়াকে। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এ খবর জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ ডমিনিক স্যাভিও।
এ দিন অধ্যক্ষ জানান, পড়ুয়াদের মধ্যে গ্রন্থাগারে যাওয়ার প্রবণতা কমছে। এর জন্য পাঠ্যের বিষয়বস্তু অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়ার ব্যবস্থা তাঁরা করেছেন। কলেজের যে কোনও প্রান্ত থেকে অনলাইনে পড়ার বিভিন্ন পাঠ্যসূচি তাঁরা পাবেন। পাশাপাশি ছাত্রদের গ্রন্থাগারে যাওয়ার জন্যও উৎসাহিত করা হচ্ছে। তাই চালু করা হয়েছে পুরস্কার। ১৬ জানুয়ারি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনটি পুরস্কার দেওয়া হবে। পুরস্কার প্রাপক হলেন বাণিজ্য বিভাগের পড়ুয়া চন্দ্র রায়, রাশিবিজ্ঞানের অর্ঘ্যমাল্য বিশ্বাস এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মানালি মণ্ডল। অধ্যক্ষ জানান, ওই তিন পড়ুয়া ক্লাস করার পাশপাশি দৈনিক প্রায় ছয়-সাত ঘণ্টা গ্রন্থাগার ব্যবহার করেছেন।
সমাবর্তনে এ বার নিহিল আল্ট্রা পুরস্কার পাচ্ছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। অধ্যক্ষ জানালেন এই প্রথম সরাসরি সেন্ট জেভিয়ার্সের সঙ্গে যুক্ত নন এমন কেউ এই পুরস্কার পাচ্ছেন। অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘এ রাজ্যের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর যে অবদান ও সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে তাঁর কাছে থেকে যে পৃষ্ঠপোষকতা ও সাহায্য পেয়েছে তার স্বীকৃতিতে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।’’
অধ্যক্ষ এ দিন জানান, দেশের সব কলেজের মধ্যে প্রথম তাঁরা তৈরি করতে চলেছেন ‘ফিনান্স ল্যাবরেটরি’। এতে ফিনান্স এবং অর্থনীতির যাবতীয় তথ্য থাকবে। এর থেকে অ্যাকাউন্টিং এবং ফিনান্স বিষয়ের পড়ুয়া, গবেষক, শিক্ষকেরা উপকৃত হবেন।
সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে আরও দশটি স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম চালুর কথাও এ দিন অধ্যক্ষ জানান। ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে চালু হতে চলেছে ইংরেজি এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম। এমএড পাঠ্যক্রমও এ বছর চালু করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি এই কলেজের রাঘবপুর ক্যাম্পাসে এ বছর চালু হতে চলেছে বাংলায় স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম। কলেজের মূল ক্যাম্পাসে ২০২০ এবং ২০২১ সালের মধ্যে চালু হবে সমাজতত্ত্ব, ইতিহাস, রসায়ন, রাশিবিজ্ঞান, অর্থনীতির স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম। ২০২০ সালে স্নাতক স্তরে মনস্তত্বে অনার্স চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে অধ্যক্ষ জানান।