বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে বিক্ষোভ। ছবি: রণজিত্ নন্দী
শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে উপাচার্য পদে থাকতে চান না সুরঞ্জন দাস। শুক্রবার তিনি জানান, বুধবার এই হামলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছেন তিনি। তাতে হামলাকারীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া রয়েছে। এই রিপোর্ট আচার্য তথা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছেও পাঠাবেন তিনি। তবে ওই রিপোর্টের সম্পর্কেও বিস্তারিত জানাতে চাননি তিনি।
ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদেও সুরঞ্জনবাবুর নাম উঠে এসেছে। কিন্তু এ দিন তিনি জানান, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন কি না, সেটা এখনও ঠিক নেই। উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
বৃহস্পতিবার সুরঞ্জনবাবু বলেছিলেন, বিবদমান দুই গোষ্ঠীর মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। এ দিন অবশ্য তিনি জানিয়েছেন, ‘বিবদমান’ শব্দটি তিনি বলতে চাননি। সে কারণে তিনি দুঃখিত।
এ দিনই বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট হলে আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের প্রতিনিধিরা। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ অধিকারীকেও ডেকে পাঠিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সৌরভ অধিকারীর নেতৃত্বেই সে দিন শিক্ষকদের উপরে হামলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সে দিন হাজির ছিলেন অশোকও।