Air Pollution

নিউ টাউনে ঘাস পোড়ানো রুখতে বাড়ছে নজরদারি

নিউ টাউনের বিস্তীর্ণ এলাকার মধ্যে অজস্র ফাঁকা জমি পড়ে রয়েছে। যে সব জমিতে ঘাস গজিয়ে থাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২০ ০৩:২৮
Share:

দহন: এ ভাবেও ছড়ায় দূষণ। নিজস্ব চিত্র

ফাঁকা জমিতে পোড়ানো হচ্ছে ঘাস। সেই ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশ দূষণ তো হচ্ছেই। সেই সঙ্গে বাড়ির ভিতরে ধোঁয়া ঢুকে পড়ায় অস্বস্তি বাড়ছে নিউ টাউনের বাসিন্দাদেরও। এ নিয়ে অনেক দিন ধরেই নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা এনকেডিএ-র কাছে অভিযোগ করছিলেন বাসিন্দারা। অবশেষে কর্তৃপক্ষ সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয়ে বেশ কয়েকটি উপায় বার করেছেন। দ্রুত সেই পরিকল্পনা কার্যকর করা হবে বলেই দাবি এনকেডিএ-র।

Advertisement

নিউ টাউনের বিস্তীর্ণ এলাকার মধ্যে অজস্র ফাঁকা জমি পড়ে রয়েছে। যে সব জমিতে ঘাস গজিয়ে থাকে। কিন্তু শুধুই ঘাস কেটে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় বলেই বক্তব্য এনকেডিএ-র আধিকারিকদের। তাই এ বার ঘাসে আগুন ধরা ঠেকাতে এ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের নজরদারি ব্যবস্থা চালু করার কথা ভাবা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজনের ধারণা, অন্ধকার মাঠে বসে নেশা করার সময়ে সাপের কামড়ের ভয়ে অনেকে ঘাসে আগুন লাগিয়ে দেয়। আবার ভূগর্ভস্থ কেব্ল চুরির জন্যও ঘাস পোড়ানো হতে পারে। কারও কারও মতে কঠিন বর্জ্য ধাপায় ফেলার খরচ বাঁচাতে গিয়ে অনেকে ফাঁকা মাঠে ফেলে তা পুড়িয়ে দেন। তার জেরে ঘাসও পুড়ে যায়। নিউ টাউনের পেঁচার মোড়ের কাছে এক বার এই ভাবে ফাঁকা মাঠের ঘাসের আগুন অনেকটা জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল।

Advertisement

আধিকারিকেরা অবশ্য জানিয়েছেন, কে বা কারা এ ভাবে ঘাসে আগুন লাগিয়ে পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। হাতেনাতে কাউকেই ধরা যায়নি। ফলে সেই সব লোককে চিহ্নিত করতেই বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি ব্যবস্থা বাড়ানো হচ্ছে।

দফতর সূত্রের খবর, সম্প্রতি এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে স্থানীয় বাসিন্দা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, পুলিশ প্রশাসন-সহ সকলকে নিয়েই একটি দল তৈরি করা হয়েছে। যাঁরা এই নজরদারির কাজ পরিচালনা করবেন। আধিকারিকেরা জানান, মোটরবাইকে চেপে নজরদারির কাজে যুক্ত করা হবে বেকার যুবকদের। ড্রোন দিয়েও চলবে নজরদারি। এক সময়ে পাড়ায় পাড়ায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ঠেকাতে রাত-পাহারার কাজে এলাকার লোকজন নিজেরা আরজি পার্টি তৈরি করতেন। এই কাজেও আরজি পার্টির ব্যবহার করার কথা ভাবা হচ্ছে। নিউ টাউনের স্থানীয় বাসিন্দারাও ওই কাজে প্রশাসনকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এনকেডিএর এক কর্তা জানান, আরজি পার্টির লোকজন শুধু নজর রাখবেন তা নয়, পাশাপাশি ফাঁকা জমিতে কেউ আবর্জনা জড়ো করছেন কি না, কিংবা ইমারতি দ্রব্য পড়ে রয়েছে কি না, সে দিকেও খেয়াল রাখবেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন