আপাতত সাঁতার নয় কলেজ স্কোয়ারে

শুক্রবার কলেজ স্কোয়ারের সুইমিং পুলে সাঁতারু কাজল দত্তের মৃত্যুর পরেই ক্লাবগুলির দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অভিযোগ উঠেছিল পুলের মধ্যে বেআইনি নির্মাণের বিষয়েও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৭ ০৯:৪০
Share:

কলেজ স্কোয়ারের জল বার করে অনুসন্ধানের কাজ শুরু করবে পুরসভা। সাঁতার প্রশিক্ষক কাজল দত্তের মৃত্যুর কারণ খুঁজতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পার্ক ও উদ্যান দফতরের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। বুধবার পুরভবনে দফতরের অফিসার ও ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বৈঠক করেন দেবাশিসবাবু। সেখানে ডাকা হয় কলেজ স্কোয়ারে সাঁতারের প্রশিক্ষণে যুক্ত থাকা পাঁচটি ক্লাবকে। প্রতিটি ক্লাবের কর্তারাই বৈঠকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, ওই দুর্ঘটনায় দোষীদের খুঁজে বার করা হোক। তাঁরা সহায়তা করবেন।

Advertisement

শুক্রবার কলেজ স্কোয়ারের সুইমিং পুলে সাঁতারু কাজল দত্তের মৃত্যুর পরেই ক্লাবগুলির দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অভিযোগ উঠেছিল পুলের মধ্যে বেআইনি নির্মাণের বিষয়েও। স্থানীয় কাউন্সিলরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। পুরসভার আধিকারিদের একাংশের অভিযোগ, কাউন্সিলর স্বপ্না দাস কলেজ স্কোয়ার চত্বরেই অফিস করেছেন। প্রতিদিন নিয়মিত সকাল সন্ধ্যায় সেখানে তিনি বসেন। তা হলে বেআইনি নির্মাণ তাঁর নজর এড়াল কী ভাবে? পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারেরাই বা কী করছিলেন?

দেবাশিসবাবু জানান, ওই পুল থেকে সব জল বার করা হবে। কাল বৃহস্পতিবার থেকে ওই কাজ শুরু হবে। তার পরে দেখা হবে জলের তলায় ক’টি বেআইনি কাঠামো রয়েছে এবং কোন ক্লাব ওই কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত। বেআইনি কাঠামো সব ভেঙে দেওয়া হবে। শহরের অন্যান্য পুলে যাতে এমন কাঠামো না থাকে, তা-ও দেখা হবে।

Advertisement

বৈঠকে ক্লাবের প্রতিনিধিদের পুর প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত সেখানে সাঁতার বন্ধ। প্রতিভাবান সাঁতারুদের জন্য হেদুয়া এবং বিদ্যাসাগর পুলে সাঁতারের ব্যবস্থা করার কথা বলা হবে। মেয়র পারিষদ জানান, নিরাপত্তা সুরক্ষিত না করে আর সেখানে সাঁতার হবে না। কলেজ স্কোয়ার পুজো কমিটিকেও সেখানে বাঁশের কাঠামো করার ব্যাপারে সতর্ক করা হবে।

শুক্রবার সকালে সাঁতার কাটতে পুলে নেমে নিখোঁজ হন ওই প্রৌঢ় সাঁতারু। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ডুবুরি এবং সুইমিং ক্লাবের সদস্যেরা দিনভর তল্লাশি চালানোর পরে দেহ উদ্ধার করেন। কলেজ স্কোয়ার সুইমিং পুলের নীচে থাকা কংক্রিটের স্ল্যাব ও কাঠের পাটাতনে আটকে ছিল কাজলবাবুর দেহ। কোনও ভাবে ওই স্ল্যাব আর ভারী পাটাতনের ফাঁকে আটকে যান তিনি। এমনও হতে পারে, জলের তলায় থাকার সময়ে কোনও ভাবে চাপ পড়ায় ওই পাটাতন হুড়মুড়িয়ে খুলে পড়ে তাঁর উপরেই। সেই চাপেই শ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন