Tala Bridge

কতটা চাপ নিতে পারবে বিকল্প পথ?

হাসপাতালের সামনে যানজট তৈরি হবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:২৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

শ্যামবাজার, বাগবাজার চত্বরের অবস্থা কী হবে? আজ, শনিবার সকাল থেকে এটাই মূল প্রশ্ন কলকাতাবাসীর। কারণ, বেহাল টালা সেতু ভেঙে পুনর্নির্মাণের জন্য শুক্রবার মাঝরাত থেকেই সেটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। পুলিশ বিকল্প রাস্তায় গাড়ি চালানোর কথা জানালেও যানবাহনের প্রবল চাপ সেই রাস্তা কতটা নিতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বস্তুত, পুজোর আগে টালা সেতু দিয়ে ভারী গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই যানজট লেগে রয়েছে বিকল্প ওই রাস্তাগুলিতে।

Advertisement

যে সব বিকল্প পথে টালা সেতুর গাড়ি চলবে তার মধ্যে রয়েছে আর জি কর রোডও। ফলে হাসপাতালের সামনে যানজট তৈরি হবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। তেমনই পণ্যবাহী গাড়ি যাওয়ার বিকল্প রাস্তা হিসেবে কাশীপুর রেল ইয়ার্ডে লেভেল ক্রসিং এখনও তৈরি হয়নি। আশঙ্কা রয়েছে কলকাতা স্টেশনে পৌঁছনো নিয়েও।

টালা সেতুর বদলে

Advertisement

• উত্তরমুখী বাস: বাগবাজার, চিৎপুর লকগেট উড়ালপুল, বি টি রোড
• দক্ষিণমুখী বাস: চিড়িয়ামোড়, সেভেন ট্যাঙ্কস, বেলগাছিয়া, শ্যামবাজার
• চাপ বাড়ার আশঙ্কা: বেলগাছিয়া, আর জি কর রোড, শ্যামবাজার, বাগবাজার, কাশীপুর এলাকায়
• পুলিশের আশ্বাস: অতিরিক্ত বাহিনী, পরিবর্তিত সিগন্যাল ব্যবস্থা, বেআইনি পার্কিং বন্ধ করে অবস্থা সামাল দেওয়া হবে

যদিও কলকাতা পুলিশের আশ্বাস, বিকল্প রাস্তা দিয়ে যান চলাচল যত দূর সম্ভব মসৃণ করা হবে। শ্যামবাজার থেকে বি টি রোডগামী বাস মূলত চিৎপুর লকগেট উড়ালপুল এবং কাশীপুর সেতু দিয়ে যাবে। লকগেট উড়ালপুলের উপরে কোনও বাস দাঁড়াবে না। অন্য দিকে, বি টি রোড থেকে শ্যামবাজারমুখী বাস আসবে টালা, বেলগাছিয়া এলাকা দিয়ে। ফলে ওই এলাকায় যানজট তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুলিশের একাংশ বলছে, এমনিতেই লেক টাউন, পাতিপুকুর থেকে প্রচুর গাড়ি বেলগাছিয়া হয়ে শ্যামবাজারে আসে। তার উপরে ওই রাস্তায় বি টি রোডের গাড়ি এলে যানজট

হওয়া অস্বাভাবিক নয়। পুলিশ জানিয়েছে, ছোট গাড়িগুলিকে কাশীপুর দিয়ে বাগবাজারের দিকে পাঠানো হবে। শ্যামবাজারের দিক থেকে কলকাতা স্টেশনমুখী গাড়িগুলিকে আর জি কর রোডের বদলে উল্টোডাঙা মেন রোড, ক্যানাল ওয়েস্ট রোড দিয়ে গজনভি সেতু পার করিয়ে গন্তব্যে পাঠানো হচ্ছে।

শুক্রবার টালা, বেলগাছিয়া, বাগবাজার এলাকায় দেখা গেল, বিকল্প পথের প্রচুর নির্দেশিকা

বসানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, আজ শনিবার থেকেই অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হবে। সিগন্যাল ব্যবস্থাতেও কিছু পরিবর্তন আনা হবে। কাশীপুর এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রণে রাস্তায় গাড়ি রাখা

নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওই এলাকায় পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের উপরেও জারি হয়েছে বেশ কিছু নিয়ম। কাশীপুরে রেলের লেভেল ক্রসিং দ্রুত তৈরি হবে বলেও আশ্বাস দিচ্ছেন পুলিশকর্তারা।

চিৎপুর লকগেট উড়ালপুলেও কিছু বদল আসতে পারে বলে পুলিশের খবর। লালবাজারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এত দিন রাত ১২টায় ওই উড়ালপুল বন্ধ হয়ে

যেত। শুক্রবার রাত থেকেই তা তুলে নেওয়া হয়েছে। এ বার দিন-রাত সর্বক্ষণ বাগবাজার থেকে

বি টি রোডের দিকে বাস, মিনিবাস, গাড়ি যাবে। এর পাশাপাশি উড়ালপুলের যে অংশটি বি টি রোডে গিয়ে মিশছে সেটি সরু। ওই

জায়গায় একটি জীর্ণ বাড়ি রয়েছে। সেটি ভাঙা হতে পারে। এর পাশাপাশি ওই অংশের ডিভাইডারও সরু হতে পারে। পুলিশের দাবি, এর ফলে দ্রুত গাড়ি বি টি রোডে

মিশতে পারবে।

কিন্তু এত কিছুর পরেও শ্যামবাজার, বাগবাজারের দুর্ভোগ কমবে কি? প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে সব মহলেই। আগামী সোমবার থেকে যার আসল পরীক্ষা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন