দু’দিন পরে ধৃত যাত্রীকে ক্ষুর মারা ট্যাক্সিচালক

যাত্রীকে ক্ষুর মেরে পালানোর সময়ে মোবাইল ফেলে গিয়েছিল ট্যাক্সিচালক। সেই সূত্র ধরেই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরে গ্রেফতার হল অভিযুক্ত ব্যক্তি। গত বুধবার রাতে মহাজাতি সদনের কাছে বচসার জেরে এক যাত্রীকে ক্ষুর মেরে পালায় এক ট্যাক্সিচালক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৪ ০০:০১
Share:

যাত্রীকে ক্ষুর মেরে পালানোর সময়ে মোবাইল ফেলে গিয়েছিল ট্যাক্সিচালক। সেই সূত্র ধরেই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরে গ্রেফতার হল অভিযুক্ত ব্যক্তি।

Advertisement

গত বুধবার রাতে মহাজাতি সদনের কাছে বচসার জেরে এক যাত্রীকে ক্ষুর মেরে পালায় এক ট্যাক্সিচালক। পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে শুক্রবার রাতে বাগুইআটি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম কুতুব আলি মণ্ডল। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার চাঁদপাড়ায়। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ট্যাক্সিটি।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যায় ধানবাদের হিল কলোনির রেল আবাসনের বাসিন্দা বিশাল আনন্দ ও তাঁর তিন বন্ধু কলকাতা শহরে ঘুরতে বেরোন। তাঁরা প্রথমে বালিগঞ্জের একটি হোটেল ও পরে তাঁরা পার্ক স্ট্রিট ঘুরে শোভাবাজারে যান। পুলিশ জেনেছে, সেখান থেকে ফেরার পথেই ট্যাক্সিচালকের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে বিবাদ শুরু হয় বিশালদের। ট্যাক্সিচালক কুতুব অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়ার পরেই বচসা শুরু হয়। বচসার মধ্যেই আচমকা বিশালের পেটে ক্ষুর চালিয়ে দেয় কুতুব। এর পরেই পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চম্পট দেয় অভিযুক্ত চালক। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিশালকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের শুরুতেই ঘটনাস্থল থেকে একটি ভাঙা মোবাইল মেলে। তাতে সিম কার্ডও ছিল। যা থেকে প্রায় ১৭-১৮টি নম্বর মেলে। তার মধ্যেই এক ট্যাক্সিমালিকের নম্বর হাতে আসে পুলিশের। জানা যায়, নম্বরটি আদতে বাগুইআটির এক বাসিন্দার। জোড়াসাঁকো থানার পুলিশ ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে।

জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জেনেছে, ওই ব্যক্তির একটি ট্যাক্সি রাতের দিকে শোভাবাজার রুটে চালায় কুতুব নামের এক যুবক। পুলিশের সন্দেহ হয়, কুতুবই অভিযুক্ত চালক। এর পরেই পুলিশ আসার কথা গোপন রেখে কুতুবকে ট্যাক্সিমালিকের বাড়িতে ডাকতে বলেন তদন্তকারীরা। কথা মতো বাগুইআটির ওই ট্যাক্সিমালিক কুতুবকে ডেকে পাঠান। শুক্রবার রাতে কুতুব বাড়িতে গেলে তদন্তকারীরা জেরা শুরু করেন। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় কুতুব দাবি করেছে, ওই যাত্রীরা তাকে মারধর করছিলেন। আত্মরক্ষার্থেই সে নিজের কাছে থাকা ক্ষুর বিশালের পেটে চালিয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন