চিঠি দিয়ে নিজের বিয়ে আটকাল কিশোরী

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৯ ০১:২৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

চাইল্ড লাইনের কাছে চিঠি পাঠিয়ে নিজের বিয়ে বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছিল দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা বীণাপাণি বালিকা বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। বৃহস্পতিবার ওই নাবালিকার বাড়ি গিয়ে বিয়ে বন্ধ করল প্রশাসন।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, দেগঙ্গা থানার বেড়াচাঁপা এলাকার ওই ছাত্রী বুধবার চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছিল, তার বয়স ১৬ বছর। সে ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করে পরবর্তীকালে চাকরি করতে চায়। অথচ বাবা-মা ও পরিবার মিলে জোর করে তার বিয়ে দিচ্ছেন। বিয়ের দিন ঠিকও হয়ে গিয়েছে। ওই কিশোরী লেখে, ‘আমি পড়তে চাই। দয়া করে আমার বিয়ে বন্ধ করুন।’

চিঠি পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই নাবালিকার বাড়ি যান দেগঙ্গা থানার পুলিশকর্মী, বিডিও দফতরের আধিকারিক ও চাইল্ড লাইনের সদস্যেরা। তাঁরা কথা বলেন ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের সঙ্গে। বাড়ির লোকজনকে প্রথমে বোঝানোর পরে সতর্ক করা হয়। মেয়েটির মা মুচলেকা দিয়ে জানান, মেয়ের ১৮ বছর হওয়ার আগে তার বিয়ে দেবেন না।

Advertisement

বিয়ে বন্ধের আশ্বাসে খুশি ছাত্রীটিও। সরকারি আধিকারিক ও মা-বাবার সামনেই এ দিন সে বলে, ‘‘বাল্য বিবাহের কুফল নিয়ে স্কুলে সচেতনতা শিবির হয়েছিল। সেখানে জানানো হয়, ১৮ বছর না হলে পরিবার জোর করে বিয়ে দিতে পারে না। চাইল্ড লাইনে জানালে বিয়ে বন্ধ করতে প্রশাসন এগিয়ে আসবে। বিয়েটা যে সত্যিই বন্ধ হবে, ভাবতে পারিনি।’’

চাইল্ড লাইনের তরফে নাজিমা খাতুন এ দিন বলেন, ‘‘সরকার মেয়েদের জন্য আর্থিক সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি সচেতনতা শিবির করে প্রচারও করছে। তা সত্ত্বেও কিছু নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়। নাবালিকাদের বিয়ে বন্ধে এ ভাবে সবাই এগিয়ে এলেই এই প্রবণতা রোখা যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন