প্রতীকী ছবি।
সাইকেল সারানোর টাকা দেননি বাবা। তাই এক কারাকর্তার ফাঁকা বাড়িতে চুরি করতে ঢুকেছিল বছর চোদ্দোর কিশোরটি। গয়না, মোবাইল ফোন হাতানোর আগে সেখানেই রান্নাঘরে চা বানিয়ে খেয়েছিল সে। এমনকি, ঘরের এসি চালিয়ে একচোট ঘুমিয়েও নিয়েছিল! বুধবার আটক হওয়ার পরে পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছে ওই কিশোর। বৃহস্পতিবার ওই কিশোরকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে হাজির করানো হলে তাকে ১৪ দিনের জন্য হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত সোমবার আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের এক কারাকর্তা আলিপুর থানায় এসে অভিযোগ করেন যে, বেলভেডিয়ার রোডের আবাসনে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে দু’টি মোবাইল ফোন, দু’টি হাতঘড়ি, গয়না ও ডিজিট্যাল ক্যামেরা চুরি হয়েছে। সম্প্রতি আলিপুর সংশোধনাগার বারুইপুরে স্থানান্তরিত হওয়ায় ওই আবাসনটি বেশির ভাগ সময়ে তালাবন্ধ থাকে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, চুরি যাওয়া একটি মোবাইল থেকে হোয়্যাটসঅ্যাপ করা হচ্ছে। সেই হোয়্যাটসঅ্যাপ থেকে এক কিশোরের ছবি মেলে। খোঁজ করতে জানা যায়, আলিপুর কোর্ট চত্বরেই থাকে সে। তার বাবা পেশায় ট্যাক্সিচালক। মা কোর্ট চত্বরেই কাজ করেন। এর পরে তাকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের দাবি, জেরায় কিশোরটি অপরাধ কবুল করে জানিয়েছে, তার সাইকেলটি খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তা মেরামতি করানোর জন্য টাকা দিচ্ছিলেন না তার বাবা। তা-ই চুরি করতে ওই ফাঁকা বাড়িতে হানা দেয় সে।
পুলিশকে ওই কিশোর জানিয়েছে, বাড়িতে ঢুকে চা খেয়ে ও বিশ্রাম নিয়ে জিনিসপত্র নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে সে। মা জিজ্ঞাসা করলে জানিয়েছিল, এক পরিচিত তাকে ওই জিনিসগুলি দিয়েছেন। উদ্ধার হওয়া ওই সব জিনিসই বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।