পড়তে যাওয়ার নামে বেরিয়ে নিখোঁজ

দ্বাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়া মাল্টিমিডিয়ার প্রশিক্ষণ নেয় একটি বেসরকারি সংস্থায়। পরিবার সূত্রে খবর, গত বুধবার গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়ার নাম করে দিদির বাড়ি থেকে বেরোয় জামির। রবিবার রাত পর্যন্ত বাড়ি ফেরেনি সে। বন্ধ মোবাইল ফোনও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৮ ০৩:২৬
Share:

জামির আখতার।

পড়তে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল বছর সতেরোর জামির আখতার। তার পরে কেটে গিয়েছে চার দিন। এখনও বাড়ি ফেরেনি সেই কিশোর। কী অবস্থায় রয়েছে ছেলে, তা জানতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মা। চিন্তায় ঘুম উড়ে গিয়েছে বাবা, দিদি-জামাইবাবুর।

Advertisement

পরিবার সূত্রে খবর, কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা জামির চার বছর ধরে কসবা এলাকায় তার দিদি-জামাইবাবুর কাছে থাকে। দ্বাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়া মাল্টিমিডিয়ার প্রশিক্ষণ নেয় একটি বেসরকারি সংস্থায়। পরিবার সূত্রে খবর, গত বুধবার গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়ার নাম করে দিদির বাড়ি থেকে বেরোয় জামির। রবিবার রাত পর্যন্ত বাড়ি ফেরেনি সে। বন্ধ মোবাইল ফোনও। বুধবার বাড়ি না ফেরায় পরের দিন সকালে কসবা থানায় অভিযোগ জানানো হয়। ওই দিন বিকেল থেকেই দৌড়োদৌড়ি শুরু হয় লালবাজারের মিসিং পার্সনস স্কোয়াড থেকে ভবানী ভবনেও। কিন্তু জামিরের খোঁজ মেলেনি।

রবিবার তার জামাইবাবু, পেশায় চিকিৎসক মঞ্জুর ইলাহী জানান, ওই দিন বিকেল ৪টে নাগাদ বেরোয় জামির। সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিট নাগাদ দিদি নাসিমা আখতারকে ফোন করে জানায়, এক বন্ধুর জন্মদিনের নিমন্ত্রণে যাচ্ছে সে। কিন্তু কে সেই বন্ধু, নাম বলেনি। পরে জামিরের ফেসবুক থেকে এক বন্ধুর খোঁজ মেলে, যার জন্মদিন ছিল ৮ অগস্ট। কিন্তু তাকে ডেকে জানা গিয়েছে, জামির তার জন্মদিনে যায়নি। জামিরের জামাইবাবু বলেন, ‘‘ওর খুব বেশি বন্ধুই নেই। হঠাৎ কোথায় গেল, কেন গেল— কিছুই বুঝতে পারছি না।’’ পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, পুলিশকে জামিেরর মোবাইল নম্বর দেওয়ার পরেও তারা টাওয়ারের অবস্থান দেখে তার শেষ অবস্থান কোথায় মিলেছে বা আদৌ মিলেছে কি না, বলতে পারেনি। যদিও পুলিশের দাবি, ওই কিশোরকে খুঁজে বার করতে সব রকম চেষ্টাই চালানো হচ্ছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন